সুন্দরগঞ্জে পাঠ্যবই পাঁচারে জড়িতদের বিচার দাবী

সুন্দরগঞ্জে পাঠ্যবই পাঁচারে জড়িতদের বিচার দাবী

ইউনুস আলী সরকার, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তত্বাবধানে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যের বিতরণে বরাদ্দকৃত চলতি সনের সাড়ে ১১ হাজার বই পাঁচারে জড়িতদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, উক্ত নাগরিক সমাজের আহŸায়ক প্রভাষক মাসুদুর রহমান প্রামানিক, যুগ্ম-আহŸায়ক ও উপজেলা আ’লীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল-মামুন, গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মাস্টার, পৌর আ’লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জাসদের সাবেক সভাপতি মুসলিম আলী মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা সিপিবির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুন্সী আমিনুল ইসলাম সাজু, উদীচী উপজেলা সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন, রতন মিয়া, সুমন মিয়া, ফুয়াদ হাসান প্রমূখ। মাববন্ধনে বিভিন্ন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বলেন, উপজেলায় সরকারীভাবে বরাদ্দ পাঠ্যবই চুরির ঘটনা এটিই প্রথম নয়; এরআগেও কয়েবার ঘটেছে। ইতোপূর্বে কোন অদৃশ্যত রহস্যজনক কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে গেছে। এবারে সারাদেশে সংকট চলতে থাকলেও গোডাউন থেকে বই চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকার লোভে পাঁচার করেন চক্রটি। এই ঘটনা শুধু একটি নিছক চুরির ঘটনাই নয়; এটি সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস। তারা মন্তব্য করেন- বই চুরি করা মাধ্যমিক অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ঘটনার ব্যাপক দূর্নীতিবাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল জড়িত রয়েছে। তিনি প্রায় ১০ বছর থেকে এ উপজেলায় চাকরি করছেন নির্বিঘেœই। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য। তারা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ যাদের কাছে গোডাউনের চাবি থাকে তারা কোনভাবেই এ দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাকে আইনের আওতায় আনা দরকার।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহমুদ হোসেন মন্ডলর মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম বলেন, মামলার বাদী বলে পার পেয়ে যাবে, এটা কথা নয়। অপরাধী যে-ই হোক; তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এরআগের ঘটনা কীভবে বলব। এরআগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেছেন, মামলাটি তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে বই পাঁচারকালে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে যমুনা সেতু (পশ্চিম) থানা পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পরদিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল বাদী হয়ে তার অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদ, ট্রাক ড্রাইভার শ্যামল ও হেলপার রাসেলকে আসামী করে একটি থানায় মামলা করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন