কিশোরগঞ্জে এগারসিন্দুর গোধূলি (৭৪৯) ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ মার্চ) রাতে জেলার কটিয়াদী উপজেলা মানিকখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় ট্রেনের সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার আহত হয়েছেন। ট্রেনের উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ট্রেনের গার্ড ব্রেকেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল পৌনে ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের আনোয়ার করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই বিষয়টি দেখছেন।
সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার মো. কাওছার হোসেন এ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে রোববার রাতে একটি পোস্ট দেন।
তার পোস্টে লিখেন, ‘আজ এগারোসিন্দু গোধূলিতে (749) কাজ করছি। সরারচর-মানিকখালী সেকশনে যে মেলা হয়, সেখানে স্টপেজের কোনো কন্ট্রোল অর্ডার নেই কিংবা কোনো স্টেশনের মাস্টার ইনফর্ম করেননি। সেকশনে কেন মেলা স্থানে দাঁড়াইলাম না সে জন্য মানিকখালী স্টেশনে বৃষ্টির মতো পাথর মেরেছে একদল বেজন্মা পোলাপাইন, মোহসিন আলী ভাইয়ের কিছু হয়নি কিন্তু আমার হাত কেটে গেছে। নিজেদের জীবন পাথর সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি তাই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।লোকোমটিভের L/S উইন্ডো গ্লাস সম্পূর্ণরূপে, R/S লুকিং গ্লাস সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলা শুধু লোকোমোটিভে করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমির হোসেন ভাইয়ের গার্ড ব্রেকে তদ্রূপ হামলা চালিয়েছে।’
মুঠোফোনে সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার জানান, সরারচর স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে আসার পর রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মানিকখালী আসার পর এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনটি এখানে থামানোর সিগন্যাল ছিল না। তাই এখানে আমরা ট্রেনটি থামায়নি। মূলত না থামানোর কারণেই বৃষ্টির মতো পাথর নিক্ষেপ করেছে। সেই পাথরের আঘাতে ট্রেনের লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আমার হাত কেটে যায়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কমলাপুরের উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেছে।
জানা গেছে, এগারসিন্দুর গোধূলি রোববার ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলা মানিকখালী এলাকায় পৌঁছে সেখানে না দাঁড়ালে দুর্বৃত্তরা ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে ট্রেনটির সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টারের হাত কেটে যায়। লোকোমোটিভ এল/এস উইন্ডো গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও ট্রেনটির গার্ড ব্রেকেও হামলা চালান তারা।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) ও স্টেশন মাস্টারের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
