জগন্নাথপুরে হাতিরঝিল সেতুর আদলে নলজুর সেতুর কাজ শুরু

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষে হাতিরঝিল সেতুর আদলে নলজুর সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। ২০২৪ সালের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।
জগন্নাথপুর – বিশ্বনাথ সড়কের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথপুর উপজেলা সদরস্থ খাদ্য গুদাম এর পশ্চিম পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর বাস্তবায়নে রাজধানী শহর ঢাকার হাতিরঝিল সেতুর আদলে ১৩ কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষ নলজুর সেতুর নির্মাণ কাজ ২৫ শে মার্চ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এর আগে ২৪ শে মার্চ এই স্থানের পুরাতন ব্রীজটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর সভার প্রাণ কেন্দ্রে নলজুর নদীর উপর রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই সেতুটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিশোর গঞ্জের মেসার্স ভাটিবাংলা এন্টারপ্রাইজ।
৬০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতুর দুই পাশে ফুটপাত থাকবে এবং রাতে সেতু ও সেতুর আশ-পাশের এলাকা আলোকিত করে রাখতে বিশেষ লাইটিং থাকবে।২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যে জনসাধারণ ও যানবাহনের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হবে। এ সেতুটির নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় হেলিপ্যাড এলাকার বিকল্প নতুন ডাইভারশন সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল সহ জনসাধারণ চলাচল করছেন। এবং নলজুর নদীর ডাকবাংলো সেতু দিয়ে ও ছোট যানবাহন ও মানুষজন চলাচল করছেন।
এই দৃষ্টি নন্দন সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় উপজেলাবাসীর মনে আনন্দ উল্লাস ও প্রানচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কেননা জগন্নাথপুর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ও পৌর সভার আশপাশে সর্বদা জ্যাম লেগে থাকত। এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী বাস্তবায়ন হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তির অবসান হবে। পৌর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। দ্রুততার সহিত নির্ধারিত সময়ের ভিতরে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য জোরদাবী জগন্নাথপুরবাসীর।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, আজ সকাল থেকে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এই সেতুর বিকল্প হিসেবে জনভোগান্তী এড়াতে ডাকবাংলো সেতু ও ডাইভারশন সেতু দিয়ে একমূখী যাতায়াতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিকল্প দুই সেত দিয়ে বারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যে সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দিতে পারবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন