চার দিন ধরে গৃহবন্দী এক পরিবার, রোগী নিয়েও যেতে পারছেনা ডাক্তারের কাছে

চার দিন ধরে গৃহবন্দী এক পরিবার, রোগী নিয়েও যেতে পারছেনা ডাক্তারের কাছে

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

নেত্রকোনার মদনে গ্রাম্য দরবার শালিশের মাধ্যমে একটি পরিবারকে ৪দিন ধরে গৃহবন্দি ও অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের তোতা মিয়া ও তার লোকজন বিরুদ্ধে।

উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও দক্ষিণপাড়া গ্রামের ওই পরিবারকে ৪ দিন ধরে গৃহবন্ধী করে রাখার কারণে, ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলামের ( ৪০) পরিবার শিশু বাচ্চা অসুস্থ হওয়ার পরও ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেতে দিচ্ছে না, একই গ্রামের তোতা মিয়া ও তার লোকজন। এমনকি তাদের গবাদি পশুর ঘরেও তালা ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। ঘাস খরকোটা খাওয়ানোর জন্য গবাদি পশুকেও বের করে  কোথাও নিয়ে যেতে পারছে না, ভুক্তভোগী পরিবারটি। সব মিলিয়ে ৩দিন ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।

এ বিষয়ে(২৯ জুলাই) শনিবার সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত বাচির উদ্দিন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম তার বসতবাড়ি (৬.৪৩) পয়েন্ট জমি বিক্রি করে, প্রতিবেশী  হাবিবুর রহমান মিয়ার ছেলেদের কাছে।

শফিকুল ইসলাম মিয়ার জমিটি কেনার পর থেকে হাবিবুর রহমানের পরিবারকে গৃহবন্দী ও অবরুদ্ধ করে  রাখে, প্রতিবেশী  মৃত মুসলিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া(৪০) ও তার লোকজন মিলে।

হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ৩৫) বলেন, প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম আমার জমিটা ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণে, বিক্রি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকার লোকজনের কাছে বলাবলি করছিলাম।

কেউ জমিটা ক্রয় করতে রাজি হচ্ছিলনা। এমতাবস্থায়, মৃত বাচির উদ্দিন মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম, আমাদের বাড়িতে আসে জমিতে বিক্রি করার জন্য। দামে মূলে বনিবনা হওয়া জমিটা ক্রয় করেছি আমরা।

উক্ত জমিটা কেনার কারণে, আমাদের বাড়িঘর গৃহবন্দী ও অবরুদ্ধ করে রেখেছে তোতা ও আশেপাশের লোকজন মিলে।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী, তুহুর মাস্টার বলেন, শফিকুল ইসলাম তার চাচাতো ভাই, তোতা মিয়ার  কাছে জমিটা  বিক্রি না করে, অন্যত্র বিক্রি করায়, দরবার সালিশের মাধ্যমে তাদের সাথে  কথাবার্তা না বলার জন্য, নিষেধ করা হয়েছে তোতা মিয়া ও তার লোকজনকে। গৃহবন্দি করে রেখেছে বিষয়টা আমার জানা নেই।

নায়েকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দরবার সালিশের মাধ্যমে, তোতা মিয়া কে বলা হয়েছে, হাবিবুর রহমানের লোকজনের সাথে কথাবার্তা না বলার জন্য। কিন্তু তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখার জন্য দরবারে তাদেরকে কেউ আদেশ দেয় নাই।

এ বিষয়ে মদন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন