বিদেশিদের নয়, আছে বিবেকের চাপ : ওয়ায়দুল কাদের

বিদেশিদের নয়, আছে বিবেকের চাপ : ওয়ায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কোন বিদেশী চাপ অনুভব করছি না। তবে বিবেকের চাপ অনুভব করছেন তারা। মার্কিনীদের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেয়া হয়নি বলে ও সংলাপের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে এ সময় জানান ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের বৈঠকের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলীয় একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর পৃথকভাবে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকও।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও অংশ নেন দলের সভাপতিমÐলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও দলের কার্য নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পিটার হাসের সঙ্গে তার একজন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।

গতকাল সকালে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছ জানান। পরে সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথকভাবে কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিদেশিদের কোনো ‘চাপ’ অনুভব করছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় তিনি বলেন, আমরা চাপ অনুভব করব কেন? ফ্রি, ফেয়ার ইলেকশন করা আমাদের কমিটমেন্ট। এখানে চাপ অনুভব করব কেন? যদি বলেন, চাপ, তাহলে বিবেকের চাপ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমেরিকার সাথে আমাদের বিভিন্ন লেনদেন আছে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা আমাদের এই অফিসে আগে কখনো আসেননি। তিনি আসলেন, দেখে গেছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। আমরা সব সময় বলি, নির্বাবন নিয়ে আমাদের যে বক্তব্য, আমরা যার সঙ্গে আলাপ করি, আমাদের অঙ্গিকার ও বক্তব্য একটি। এটি অত্যন্ত পরিস্কার। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা সবার সঙ্গে বলছি। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। দেশের জনগনের কাছে কমিটমেন্ট।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলনেরই সোনালী ফসল। শেখ হাসিনার অধিনে বাংলাদেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো অভিযোগ নিয়ে কথা বলিনি। তার কথা সে বলেছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত কোথাও তার কথায় কেয়ারটেকার সরকার, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ এ ধরণের কোনো কথা বলেনি। কথা হয়েছে- ফ্রি, ফেয়ার ও পিসফুল নির্বাচন নিয়ে। মার্কিনীদের পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ দেয়া হয়নি বলেও এ সময় জানান ক্ষমতাশীন দলের সাধারণ সম্পাদক। সংলাপের বিষয়েও কোনো কথা হয়নি বলে জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন