উত্তর আমেরিকাতেও শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’র দাপট

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে হিমেল আশরাফ পরিচালিত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’। টানা ছয় সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে এখনও চলছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমাটি। দেশের এমন রমরমা অবস্থার মধ্যে বিদেশেও দাপট দেখাচ্ছে সিনেমাটি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে আমেরিকার বাজারে সর্বোচ্চ কালেকশন করা সিনেমাগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে এটি। অনম বিশ্বাস নির্মিত ‘দেবী’কে টপকে এই জায়গা দখল করলো ‘প্রিয়তমা’।

সিনেমাটির কানাডা ও আমেরিকার পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব কমস্কোর সূত্র দিয়ে বলেছেন, ‘প্রিয়তমার’ চার সপ্তাহের গ্রস বক্স অফিস কালেকশন এক লাখ ছাব্বিশ হাজার ডলার। ‘দেবী’র ছিল এক লাখ পঁচিশ হাজার ডলার। ‘প্রিয়তমা’র অর্জন এখানেই শেষ নয়। আমেরিকায় কোনো প্রেক্ষাগৃহে টানা পাঁচ সপ্তাহে প্রদর্শনের রেকর্ডে ‘হাওয়া’র সাথে যুক্ত হলো ‘প্রিয়তমা’। ‘হাওয়া’র মতোই টানা পাঁচ সপ্তাহ আমেরিকার জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে চলছে এই সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘প্রিয়তমা’।

সজীব আরও বলেন, শধু তাই নয়, উত্তর আমেরিকায় একক সিনেমা হলে সবচেয়ে বেশি আয়কারী বাংলাদেশি সিনেমাও এখন ‘প্রিয়তমা’। আমেরিকার জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ‘প্রিয়তমা’র গ্রস কালেকশন ৬৭,১০৪ ডলার। এর আগে সবচেয়ে বেশি আয় করা ‘হাওয়া’ এ মাল্টিপ্লেক্সে ৫ সপ্তাহে গ্রস করেছিল ৬৩,৫৪৮ ডলার।

যদিও উত্তর আমেরিকায় সর্বোচ্চ আয় ‘হাওয়া’র দখলে। সিনেমাটির আয় তিন লাখ আটান্ন হাজার ডলার। এরপরের জায়গাটি ‘পরাণ’ এর দখলে। আয় এক লাখ সাতাশি হাজার ডলার। তাই এই মুহূর্তে তৃতীয় অবস্থানে আছে ‘প্রিয়তমা’। দুই সপ্তাহে আয় করেছিল এক লাখ বারো হাজার ডলার। চার সপ্তাহে আয় এক লাখ ছাব্বিশ হাজার ডলার। তবে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ‘পরাণ’ রয়েছে বেশ দূরত্বে। আর ‘হাওয়া’ অনেক দূরে। যদিও এই দুটো সিনেমা সত্তর এবং আশি প্লাস থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিলো। ‘প্রিয়তমা’ মুক্তি পেয়েছিল বিয়াল্লিশ হলে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, প্যারিস ও অস্ট্রেলিয়ায় চলছে ‘প্রিয়তমা’। এর বাইরে ইতালিতে একটি বিশেষ শো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিনেমাটি। আগামী ১৮ আগস্ট থেকে লন্ডন, আয়ারল্যান্ড, মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় মুক্তি পাবে বলেও জানিয়েছেন নির্মাতা হিমেল। এই সিনেমাতে শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কলকাতার ইধিকা পাল। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ভার্সেটাইল মিডিয়া।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন