তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র পূর্বশর্ত: রিজভী

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র পূর্বশর্ত: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র পূর্বশর্ত। দেশকে ফ্যাসিজমের অন্ধকারে নিমজ্জিত করে এক ব্যক্তি, একদলের দুঃশাসনে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপি নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে শেখ হাসিনার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এখন পৃথিবীর সব স্বৈরশাসকের সঙ্গে শেখ হাসিনার পারস্পরিক প্রীতির সম্পর্ক। তাই আওয়ামী লীগের মতো একটি দল তাদের অধীনে এমন কোনো নির্বাচন হতে দেবে না, যেখানে তাদের পরাজয় হয়।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বলেছেন- ‘ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে করবে, তাতে কিছু আসে যায় না’। তাহলে প্রধানমন্ত্রী ছেলের সম্পদের কথা স্বীকার করলেন। তাহলে বাজেয়াপ্ত সম্পদ ও অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করলে জনগণ বুঝতে পারত আসল ঘটনাটা কী।

তিনি বলেন, আমেরিকার নিজেদের সুশাসন ও স্বাধীন বিচার বিভাগ নিয়ে তাদের বিপক্ষরাও কখনো প্রশ্ন তোলেনি। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্রের বিকাশ সাধন করেছে। সেই দেশের সরকার ইচ্ছা করলেও কারও ন্যায়সঙ্গত সম্পদ, বাড়িঘর বা অর্থকড়ি বাজেয়াপ্ত করতে পারে না। শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এ দেশের লাখ কোটি টাকা পাচারের আরও অনেক লুক্কায়িত ঘটনার আভাস পাওয়া যায়। যাদের আমলে সরকারি ট্রেজারি থেকে শুরু করে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়, সেই দেশের লুটেরা গোষ্ঠী ক্ষমতাকে গায়ের জোরে আঁকড়ে ধরে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।

রিজভী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত সময় মাত্র এক ঘণ্টা। এই এক ঘণ্টার বক্তব্য দেওয়ার জন্য একটা হতদরিদ্র দেশের ভুখা-নাঙ্গা মানুষগুলোর খাবারের পয়সায় ১৬৭ জনের বিশাল বহর নিয়ে ১৮ দিনের লম্বা সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতেই প্রমাণিত হয় শেখ হাসিনার উন্নয়নের বুলি দিয়ে মানুষকে ফতুর করার উন্নয়ন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মরণকামড় দেওয়ার জন্য নানাবিধ নিপীড়নের যন্ত্র গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষের ওপর নামিয়ে এনেছেন। দেশব্যাপী চলছে মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারের হিড়িক, হামলা ও ভাংচুরের অব্যাহত নিষ্ঠুর ঘটনা। তিনি মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে সংকটাপন্ন করেছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও জবাবদিহিতার বিষয়গুলো উপেক্ষা করে ম্যান্ডেটবিহীন সরকারের আচরণ করছেন বলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, আদালত, বিচারক সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর তল্পিবাহকে পরিণত করা হয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন