সাভারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১১, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

সাভারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ১১, আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

 

ঢাকার সাভারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাতলাপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- ঈগল প্রতীকের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থক মো. হৃদয়, পান্না ও সাগর। এছাড়া আওয়ামী সমর্থিত নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের সমর্থক ইকবাল হোসেন সম্পদ, সিফাত, সায়মন, সাগর ও সাভার পৌর আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন। বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

 

আহত ফরহাদ হোসেন বলেন, নির্বাচনের দিন কাতলাপুর কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ হলে ঈগলের প্রার্থী নৌকার চেয়ে কিছু ভোট বেশি পায়। তারা এই ওয়ার্ডে জয়ী হওয়ায় নৌকার কর্মীসমর্থকদের ওপর চড়াও হয়। সেদিন নৌকার কর্মীদের কিলঘুষি মারে। এঘটনায় কাতলাপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনা থানায় জানালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেলের ওপর মিমাংসার দায়িত্ব দেন ওসি। পরে এসআই রাসেল স্থানীয় হালিমের ওপর মিমাংসার দায়িত্ব দেন। বুধবার হালিমের অফিসে মিমাংসার জন্য নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা গেলে সেখানেও কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় ঈগলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় নৌকার আটজন সমর্থক আহত হন।

ঈগলের সমর্থক হৃদয় বলেন, লাদেন, সম্পদ, রাকিবসহ বেশ কয়েকজন আমাদের ওপর মোটরসাইকেল যোগে এসে হামলা চালায়। আমরা ঈগল প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদের সমর্থক বলে আমাদের ওপর হামলা চালায় তারা।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল হালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ঈগল প্রতীকের সমর্থক ছিলেন বলে জানা যায়। বাকী আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন