ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির মোট দেনার পরিমাণ জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ থেকে ৫ দিন সময় দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়াও গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি ১৫ জুলাই পর্যন্ত কতো টাকা নিয়েছে তা জানাতে ৭ দিন এবং মার্চেন্টদের কাছে কতো টাকা দেনা তা জানাতে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়েছে মন্ত্রণালয়। বুধবার বিকেলে ইভ্যালির ভবিষ্যত নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৯ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার | বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সিরিজ | Sony showroom…
বিস্তারিতTag: ইভ্যালির গ্রাহক ভোগান্তি
ইভ্যালির গ্রাহক ভোগান্তি |দৈনিক আগামীর সময় | Agamirsomoy.com | বাংলা সংবাদপত্র
রকমারি আকর্ষণীয় ছাড় আর অফার দিয়ে এক বছরের মধ্যেই ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে অনলাইন কেনাকাটার প্লাটফর্ম ইভ্যালি। অল্পদিনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উঠেছে গ্রাহক হয়রানি আর ভোগান্তির হাজারো অভিযোগ।
ইভ্যালির সাইক্লোন, লণ্ডভণ্ড, নবীন বরণ, ভ্যালেন্টাইন সাইক্লোন, ধামাকা অফার নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন। আর বছরব্যাপী বিশেষ দিবসকে ঘিরে প্রতিষ্ঠানটির দেয়া এসব লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে সারাদেশ থেকে অনলাইনে পছন্দের পণ্য অর্ডার করে বিপাকে পড়েছেন অসংখ্য সাধারণ গ্রাহক।
১৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম থাকলেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করে, কেউ এক মাস, কেউ দুই মাস পরেও বুঝে পাচ্ছেন না নির্দিষ্ট পণ্য। এসএমএস, ইমেইল, হেল্প সেন্টারে কল করেও মিলছে না কোনো সমাধান। কেউ কেউ পণ্য অর্ডারের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও রয়েছেন শঙ্কায়।
পণ্য অর্ডার করে টাকা পরিশোধ করার পরেও সেটা নির্ধারিত সময়ে গ্রাহক না পাওয়া, প্রোসেসিংয়ের নামে দিনের পর দিন পণ্য আটকে রাখা, হেল্প লাইনে কল করে অভিযোগ করলে সেটা আমলে না নিয়ে তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়া, সাধারণ গ্রাহকদের এমন নানান ধরনের হয়রানি আর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে এ ধরনের অসংখ্য গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির হেল্প সেন্টারে কল করেও কোনো সমাধান না পেয়ে অনেকেই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সামিউল বাসির বিন হোসাইন নামের এক গ্রাহক সম্প্রতি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,ইভ্যালির অফারের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভুক্তভোগী কেউ আছেন ফ্রেন্ডলিস্টে? ওই পোস্টের এক কমেন্টের জবাবে তিনি লিখেন, আমার ফ্রেন্ডলিস্টে নাই সিইও। যাইহোক, অফারগুলোখুব বাজেভাবে শুরু করছে ইভ্যালি। অর্ডার দিলে ৪ মাসেও প্রোডাক্ট পাওয়া যায় না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফেসবুকে ইভ্যালির কয়েকটি গ্রুপ ও পেজ রয়েছে। এগুলো হলো- ইভ্যালি.কম.বিডি, ইভ্যালি অফার অ্যান্ড হেল্প সেন্টার, ইভ্যালির অফার এর বিস্তারিত, ইভ্যালি অফার অ্যান্ড রিভিউ ইত্যাদি। গ্রুপগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাহকদের ভাল রিভিউগুলো রয়েছে। ভুক্তভোগী কোনো গ্রাহক এখানে নেগেটিভ রিভিউ লিখলে সেগুলো রিভিউ গ্রুপে এপ্রুভ করা হয় না। অসহায় গ্রাহক তখন ভরসার জায়গা হিসেবে মনের সব ক্ষোভ আর অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে। এছাড়াওইভ্যালির ফেসবুকে দেয়া সব অফারের পোস্টেও একইভাবে করছেন অভিযোগ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার শুভ জন্মদিন। এ উপলক্ষে তিনি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন কিছু ছবি। ওই পোস্টের কমেন্টে শুভেচ্ছা জানানোর পরিবর্তে গ্রাহকরা তুলে ধরেন নানান হয়রানি আর ভোগান্তির কথা।
ইভ্যালি থেকে দু্ইটালেনোভো মোবাইল অর্ডার কফার্ম করে হতাশায় দিন গুণছেন আমিনুল ইসলাম নামের ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে পড়ুয়া এক ছাত্র। তিনি মনের অবস্থার কথা জানিয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্দেশে লিখেছেন, ইভ্যালিতে লেনোভোর ২টা মোবাইল অর্ডার করে ২৬ দিন ধরে প্রসেসিংয়ে আছে। এখনো কোনো খবর নাই। টাকাটা মেরে দিয়ে কি হবে? আল্লাহ আছেন। একদিন তার কাছে জবাব দিতে হবে।
গাজীপুর থেকে হাসনাত সাদী আল সিফাত নামে এক স্টুডেন্ট ইভ্যালি থেকে একটা পাওয়ার ব্যাংক অর্ডার করে টাকা পরিশোধ করেছেন। অর্ডার ইনভয়েস নম্বর EVL347017869। তিনি বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পাওয়ার ব্যাংকটা অর্ডার করে পড়েছেনবিপাকে। গত ২৭ জানুয়ারি অর্ডার কনফার্ম করা পাওয়ার ব্যাংকটি হাতে না পেয়ে তিনি এখন টেনশনে আছেন। কেননা বাবা-মা এখন তাকে ভুল বুঝছেন।
তিনিমনের অবস্থার কথা বর্ণনা করে ইভ্যালির হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখেছেন, গত ২৭ জানুয়ারি আমার পাওয়ার ব্যাংকটির অর্ডার কনফার্ম করা হয়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে আপনাদের ওয়্যার হাউজে পড়ে আছে। ইভ্যালির কেউ যদি থেকে থাকেন তবে একটু গুরুত্ব দিয়েন। আমার বাবা-মা আমাকে সন্দেহ করা শুরু করেছে। তারা মনে করছে আমি টাকা নষ্ট করে ফেলেছি। প্রায় এক মাস ধরে পাওয়ার ব্যাংকটি পড়ে আছে। ইলেকট্রনিক জিনিস, নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দরকার হলে আমি কুরিয়ার চার্জ দিব। তাও পাঠিয়ে দেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যেহেতু আমার প্রোডাক্টটি আপনাদের ওয়্যার হাউজে আছে, তাই ডেলিভারি করতে সমস্যা হওয়ার কথা না।
ইভ্যালিতে দেয়া অফারের পণ্য অর্ডার করে এক মাসেও হাতে না পেয়ে ভুক্তভোগী মো. জয়নাল আবেদীন লিখেছেন, ভাইয়া দয়া করে আর নতুন অফার দিয়েন না। টাকা তো সব আপনার কোম্পানির কাছে চলে গেছে। এখন যতো দ্রুত সম্ভব ডেলিভারি দেবার ব্যবস্থাকরেন। আমার অর্ডার ইনভয়েস নম্বর- EVL#101509774। অর্ডার টা ১মাসের উপরে হয়ে গেছে। এখনো ডেলিভারি পেলাম না।
শাওন আহমেদ নামে আরেক ভুক্তভোগী গ্রাহক লিখেছেন, গত ১৭ জানুয়ারি ইভ্যালিতে একটা পলিট্রন টিভি অর্ডার করে পুরো টাকা পরিশোধ করেছি। অর্ডার ইনভয়েস নম্বর-EVL653313116। ৪১ দিন চলছে কিন্তু এখনো আমার টিভি বুঝে পাইনি। এমনকি টাকাও ফেরত পাইনি। মোহাম্মদ রাসেল ভাই দয়া করে আমার সমস্যাটা সমাধান করে দিন।
৪৫ হাজার টাকার একটি শখের ডিএসএলআর ক্যামেরা অর্ডার করে চরম বিপাকে আছেন ফ্রিল্যান্সার মো. জীবন। রাত জেগে কষ্ট করে আয় করা টাকায় অর্ডারের ক্যামেরাটা ১৫ দিন ধরে প্রোসেসিংয়ে আছে। এখানো কেউ বিষয়টা দেখছেন না। তাই ইভ্যালির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, আমার ক্যামেরার অর্ডারটা এখানো পিকড হচ্ছে না কেন? কবে পিকড হবে আর কবে ডেলিভারি পাবো। ইভ্যালির কেউ কি আমার এই অর্ডারটা একটু দেখবেন প্লিজ?
পছন্দের প্রোডাক্ট অর্ডার করে তা দেড় মাস পর বাতিলহওয়াতে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুর রহমান মানিক লিখেছেন, পণ্য অর্ডারের ৪৫ দিন পরে বাতিলকরা হলো এটা কোন ধরনের ফাইজলামি? ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিত। ডেলিভারি দিতে পারবে না এটা বুঝেই অর্ডার নেয়া উচিত ছিল। এত বড় কোম্পানির স্টকে নাকি প্রোডাক্ট নাই। ৪৫ দিনে তো প্রোডাক্ট উৎপাদন করেও দেয়া যায়। যার ইনভয়েস নম্বর-EVL675350363।
বরিশাল থেকে শিহাব আহমেদ নামের আরেক ভুক্তভোগী গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে লিখেছেন, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ইভ্যালির সাইক্লোন অফারের সময় তিনি নবিন টিভি অর্ডার করে টাকা পরিশোধ করেছেন। যার অর্ডার ইনভয়েস নম্বর #EVL739478160। দুই মাস পরেও এখনো তিনি টিভি বুঝে পাননি। তাই ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এর কাছে জানতে চেয়েছেন টিভিটিকবে নাগাদ পবেন। কিন্তু তাতে মেলেনি কোনো উত্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৫ ধারায় বলা আছে, প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা হলে অনূর্ধ্ব এক বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
৫২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত বিধি-নিষেধ অমান্য করে সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে-এমন কোনো কার্য করা হলে অনূর্ধ্ব তিন বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এবং ৫৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সেবাপ্রদানকারী কর্তৃক অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতায় সেবাগ্রহীতার অর্থ বা স্বাস্থ্যহানী ঘটানো হলে অনূর্ধ্ব তিন বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা (তদন্ত) বিবার্তাকে বলেন, ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে লিখিত অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। তবে অভিযোগের পরিমাণ এখনো বলা যাচ্ছে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ওই কোম্পানীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছি। অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কমপ্লেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিগ্যাল ইস্যু স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বিবার্তাকে বলেন, ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটিকে সহায়তা দেয়ার জন্য কমপ্লেইন ম্যানেমেন্ট অ্যান্ড লিগ্যাল ইসু স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ই-ক্যাবের সদস্য কিংবা সদস্য নয় এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে উপযুক্ত প্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করে সমস্যাটি সমাধানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। সেজন্য ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা যাতে অভিযোগ করতে পারেন সেজন্য অভিযোগ ফরম করা হয়েছে। অভিযোগ করলেই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য একটি কমন নীতিমালা প্রণয়নে কাজ শুরু করেছি। নীতিমালাটি হয়ে গেলে তা ই-ক্যাবের প্রত্যেক সদস্যের ওয়েবসাইটে দেখানো হবে। এর ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই উপকৃত হবেন। অনলাইন কেনাকাটায় অভিযোগের পরিমাণও কমে আসবে। যদি কোনো কারণে আমরা কারো অভিযোগের সমাধান করতে না পারি তখন ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা নেবার সুযোগ আছে।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করেন, প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন লোভনীয় ছাড় আর ক্যাশব্যাক অফারের নামে যা করছে তা মূলত জনগণের টাকায় গ্রাহক ভোগান্তি আর হয়রানির ব্যবসা। যে কোনো বিশেষ দিবসে ৬০% ৮০% ৯০% এমনকি ১০০% ক্যাশব্যাক অফার দিচ্ছে। আর এ ফাঁদে পা দিচ্ছে দেশের সহজ-সরল অসংখ্য সাধারণ গ্রাহক। প্রতিষ্ঠানটি অর্ডার নিয়ে কিছু গ্রাহককে পণ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে। বাকিদের পণ্য হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন। কেউবা দিন গুণছেন কখন অর্ডার ক্যান্সেলের টাকা ফেরত পাবেন সে আশায়। এভাবে চলতে থাকলে অন্যসব ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের উপর থেকে সাধারণ গ্রাহকের আস্থা উঠে যাবে।
এই বিষয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলের পক্ষে বিবার্তাকে লিখিত বক্তব্য দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে।
সেখানে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ই-কমার্স খাত দেশের একটি উদীয়মান দিক যেখানে আমরা স্টার্টাপগুলো এখনো শিখছে। কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা নির্ধারিত সময়ে ডেলিভারি দিতে পারছি না। এটা সত্য। তবে এর অনুপাত আমাদের সকল অর্ডার এবং ডেলিভারি হওয়া পণ্যের তুলনায় খুব কম, গণিতের ভাষায় বললে ০.৫ শতাংশ প্রায়। আমরা প্রতি মুহূর্তে এই জায়গাটিতে ভাল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশে আমাদের যাত্রাকাল মাত্র এক বছরের কিছু বেশি। ইতিমধ্যে আমরা এশিয়া ওয়ান এর হিসেবে দেশের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড। ইকমার্স এ যে, সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করা যায় সেই আস্থা আমরা গ্রাহকদের দিতে পেরেছি। তবুও যেসব সমস্যা চিহ্নিত হচ্ছে, সেগুলো সমাধানে আমরা আন্তরিক এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
আমরা আমাদের বাইক চাই। ইভ্যালির অফিসের সামনে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
তাদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা থাকতে দেখা যায়, “আমরা আমাদের বাইক চাই। ১৫৭ তম দিনেও আমরা আমাদের বাইক পাইনি।” অর্ডার করার ১৫৭ দিন পরও বাইক না পাওয়ায় ইভ্যালির অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির গ্রাহকদের একটি অংশ। বাইক ডেলিভারি পাওয়ার দাবিতে সোমবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানটির সোবাহানবাগের ডেলিভারি পয়েন্ট ভবনের সামনে জড়ো হন প্রায় ৪০ জন গ্রাহক। এসময় তাদের হাতে থাকা একটি ব্যানারে লেখা থাকতে দেখা যায়, “আমরা আমাদের বাইক চাই। ১৫৭ তম দিনেও আমরা আমাদের বাইক পাইনি।” চলতি বছরের মার্চে ইভ্যালির সাইক্লোন অফারে বাইকের জন্য টাকা পরিশোধ করা…
বিস্তারিতপ্রয়োজনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান-এমডিকে জিজ্ঞাসাবাদ : দুদক আইনজীবী
অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলকে প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রোববার (১১ জুলাই) সাংবাদিকদের অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে গত নভেম্বর থেকেই দুদক অনুসন্ধান করছে। প্রয়োজনে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং এমডি মো. রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আইনে দুদককে সে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত ৯ জুলাই অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন এবং এমডি মো. রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয় দুদক। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে…
বিস্তারিত১০ দিনের মধ্যে ইভ্যালির গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি
‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ মোতাবেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়ার অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক। বিজ্ঞপ্তিতে মুর্শিদুল হক বলেন, গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল কর্তৃক ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০২০ (সংশোধিত)’ এর অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬ অনুসারে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ প্রণয়ন করে…
বিস্তারিতএক ঘণ্টায় ৫৩ হাজার স্মার্টফোনের অর্ডার পেল ইভ্যালি
নানা অনিয়মের অভিযোগে এখন বিপাকে রয়েছে ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। তারপরও একের পর এক অফার দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতাদের ব্যাপক সারাও পাচ্ছে। মাত্র এক ঘণ্টায় ৫৩ হাজার রিয়েলমি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে অর্ডার পেল ডিজিটাল কমার্স বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। শনিবার (১০ জুলাই) রাত ১০টা ১০ মিনিট থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টায় এই বিপুল সংখ্যক অর্ডার পায় প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, বাংলাদেশে রিয়েলমি-৮ জি’র বাজার মূল্য ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা। তবে ইভ্যালি বিশেষ মূল্যছাড়ে ১৯ হাজার ৯৯০ টাকায় এ স্মার্টফোনটি বিক্রির অফার করে। তাদের এ এক্সক্লুসিভ ক্যাম্পেইন…
বিস্তারিতশত অভিযোগের পরও ইভ্যালিতে একদিনে ২০০ কোটি টাকার অর্ডার
ক্রেতার অর্ডার করা পণ্য দিতে গড়িমসিসহ নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও একদিনে ২০০ কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছে ইভ্যালি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শনিবার (১০ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, একটা ধারণা ছিল যে, সবাই ইভ্যালিতে উচ্চ মূল্যছাড়ের জন্য কেনাকাটা করে। কিন্তু আসল প্রেক্ষাপট যে ভিন্ন সেটি এখন স্পষ্ট। টি১০ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি যে, আমাদের বড় একটি লয়্যাল কাস্টমার বেইজ রয়েছে। তারা মূল্যছাড় খুব কম হলেও ক্যাম্পেইনের মাত্র ৩ ঘণ্টার কম সময়ে ৬০ হাজারের…
বিস্তারিতইভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিসেস শামীমা নাসরিনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুই সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক। এরআগে গত ৪ জুলাই ইভ্যালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক সহ চার সরকারের চার প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে ইভ্যালির অগ্রিম নেওয়া ৩৩৯ কোটি টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ…
বিস্তারিতদুই মাসের মধ্যে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হবে ইভ্যালি: রাসেল
আগামি ২ মাসের মধ্যে ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি লাভজনক অবস্থানে থাকবে বলে আশা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য দিয়েছেন তিনি। নিজের ব্যাক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া সেই স্ট্যাটাসে ইকমার্সের জন্য টেকসই পরিবেশ তৈরি করায় সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী। ই-কমার্স ইস্যুতে সদ্য গৃহিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানিয়েছে ইভ্যালি। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ রাসেল জানান, ই-কমার্স দেশের অর্থনীতির দ্রুত সম্প্রসারণ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। আপনারা ইতিমধ্যে প্রমাণ করেছেন যে, ছাড়ই পণ্য ক্রয়ের একমাত্র কারণ নয়।। সুবিধামত সর্বোত্তম…
বিস্তারিতইভ্যালির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক
এজন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে কমিশন। ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানোর পর অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। এজন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছে কমিশন। টিমের আরেক সদস্য হলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শিহাব সালাম। দুদকের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিস্তারিতইভ্যালির বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি
একই সঙ্গে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া ৩৩৮ কোটি টাকা আত্মসাত কিংবা অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলার আশঙ্কা করে আলোচিত-সমালোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালি ডটকমের বিরুদ্ধে মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ইভ্যালির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাওয়া আর্থিক অনিয়মগুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পৃথক চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া, গ্রাহকদের কাছ থেকে ২১৪ কোটি টাকা অগ্রিম গ্রহণ করে পণ্য ডেলিভারি না…
বিস্তারিত