বিশেষ প্রতিনিধি:
নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর ইছামতি নদী দখল করে প্রায় পাচঁ শতাধিক দোকান-ঘর নির্মান করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।অপরদিকে সড়কের উপর স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধ দোকানঘর নির্মান করে ও যত্রতত্র যানবাহনের ষ্টান্ড করে জন সাধারনের চলাচলের কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি করে জনদূর্ভোগে পরিনত করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
অনুসন্ধানীতে ও সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার গালিমপুর ইছামতি নদীর প্রায় এক কিলোমিটার নদীর পাড় মাটি ভরাট করে প্রায় পাচঁ শতাধিক দোকান-ঘর নির্মান করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায়,ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে এলাকাটিতে গড়ে উঠেছে একাধিক ব্যাংকপাড়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ,মাদ্রাসা,মসজিদ,হাট-বাজার ও বিপনি মার্কেট।এসবকে কেন্দ্র করে চুড়াইন,গালিমপুর,আগলা ইউনিয়নের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক ও দৈনন্দিন কাজে চলাফেরা করেন সাধারন জনসাধারন।এছাড়াও দোহারের জয়পাড়া থেকে গালিমপুর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য বাস সার্ভিস প্রতিদিন চলাফেরা করে জয়পাড়া পরিবহন।ফলে বর্তমান সময়ে এই এলাকাটিতে জনবসতি গড়ে উঠেছে এবং রাস্তাটি হয়ে পড়েছে ব্যাস্ততম সড়ক হিসাবে।তিন ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে ইছামতির নদীর তীর এলাকার খাস জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নির্মান করেছে প্রায় শতাধিক আধা কাচাঁ-পাকা দোকান।শুধু তাই নয় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা সরকারের খালি জমিও দখলে নিয়ে গড়ে তুলেছে আরো অর্ধ শতাধিক আধাপাকা দোকান-ঘর।এভাবে প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পাড় কিংবা ফুটপাত দখল করে নিয়েছে এই সিন্ডিকেটরা।সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ বিপনি মার্কেট।এদেরকে ঘিরে আবার গড়ে উঠেছে অটোবাইক,সিএনজি ও রিক্সার ভাসমান ষ্টান্ড।ফলে প্রতিমুহূর্তে সড়কের দুইদিক থেকে আসা বিভিন্ন যানবাহন এখানে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকে।এতে ভোগান্তিতে পড়েন রোগী,পথচারী,শিক্ষার্থী ও সাধারন জনসাধারন। গতকাল বুধবার বিকালে যানজট চলাকালে দেখা মেলে চুড়াইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বেপারী সাহেবের সাথে।এ সময়ে তার গাড়ী বহর ও প্রায় আধঘন্টা আটকে থাকতে দেখা যায়।এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান জলিল নিজে নেমে এই যানজটের মুল কারন অটোবাইক ও রিক্সা ষ্টান্ড ভেঙ্গে দেন।এতে কিছুক্ষন সময়ের জন্য জনদূর্গোভ কমলেও তা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.তপন মোল্লা দৈনিক আগামীর সময়কে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,এ সমস্যা দিন দিন ব্যাপক ব্যাধি হিসাবে দাড়িয়েছে।প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান ছাড়া পরিত্রান পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে আগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আবেদ হোসেন দৈনিক আগামীর সময়কে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,সরকারের খাস জমি দীর্ঘদিন পড়ে থাকলে এই অবস্থাই হবে।
এ বিষয়ে চুড়াইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আব্দুল জলিল বেপারী দৈনিক আগামীর সময়কে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,আমি এই যানজট নিয়ন্ত্রন চাই।আপনারা কলমের ভাষায় সোচ্চার হউন আমি আপনাদের সাথে আছি এবং ন্যায় কাজে সাথে থাকবো ইনশাল্লাহ।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো.তোফাজ্জল হোসেন দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন বিষয়টা আমার জানা ছিল না।সরকারী সম্পত্তি এভাবে দখল হয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যাবে না।এ বিষয়ে তদন্ত না করে আর বিশেষ কিছু বলা যাবে না।