কেরানীগঞ্জে স্ত্রীর কবজি-রগ কেটে হত্যা

কেরানীগঞ্জে স্ত্রীর কবজি-রগ কেটে হত্যা

মো.শাহিন 
বিশেষ প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জে গৃহবধূকে  কুপিয়ে ও হাতের রগ কেটে হত্যা করেছে  পাষান্ড স্বামী সুমন (২৮)। নিহত স্ত্রীর নাম জোসনা আক্তার (২৫)। সে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের জননী বলপেন ফ্যাক্টরিতে বই বাইন্ডিংয়ের কাজ করতো। নিহত জোসনার ৬ বছরের লামিয়া ও সাড়ে ৩ বছরের সামিয়া নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তেঘরিয়া এলাকার পশ্চিমদি গ্রামের মোল্লাবাড়িতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে খুনী সুমন পালানোর সময় জোসনার বাবাকে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। খবর পেয়ে বুধবার সকালে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। ঘটনাস্থলে গেলে নিহত জোসনার বাবা জাফর হাওলাদার জানান, ১৩ বছর পূর্বে জোসনা আক্তারের সাথে ঝালকাঠির নলসিটি রায়পুরের বাসিন্দা জহুর আলীর ছেলে সুমনের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি সে নেশা করে। বিয়ের পর থেকে সে সুমন জোসনাকে মারধর করে। মারধরের ব্যাপারে এলাকায় একাধিকবার পঞ্চায়েত সালিশ করেছে, ঠিকভাবে সংসারের খরচ দেয়না। তাই আমার ভাড়া বাসার পাশের বাড়িতে ওদের বাসা ভাড়া করে দেই। সুমন বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে নানান ভাবে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। আমি সামান্য রিকশা চালক। তারপরও যখন যেভাবে পারছি সাহায্য করছি। সকালে(বুধবার) খবর পাই গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে আমার মেয়েকে মেয়ে জামাই সুমন মারধোর করছে। সকালে মেয়ের বাসায় যাবার পথে আমাকে সুমন কাঠের (রুয়া) শক্ত লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে । সাথে সাথে আমি মাটিতে পরে যাই এই সুযোগে সুমন মেয়ে দুটিকে নিয়ে আমার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।নিহত জোসনার ছোট বোন হোসনা বেগম জানান,সকালে ঘরে ঢুকে দেখি আমার বোনকে সুমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সে আমার বোনের পেট কেটে ফেলেছে। হাতের রগ কেটেছে। পিঠে চাকু মেরেছে। আমার বোনকে হত্যাকারী কঠিন বিচার চাই। 
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া পশ্চিমদি এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটেছে। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যা হয়েছে। লাশের হাতে ও নিন্মাঙ্গে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ মর্গে প্রেরন করেছি। তবে এঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্তকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন