এবার মীর কাসেমের জন্য পাকি জামায়াতের কান্না

এবার মীর কাসেমের জন্য পাকি জামায়াতের কান্না

এবার মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় জামায়াতে ইসলামির নেতা মীর কাসেম আলীর জন্য বুক ফাটছে জামায়াতে ইসলামি পাকিস্তানের। রোববার পাক জামায়াতের উদ্যোগে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশি এ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর জন্য গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াতের এ শীর্ষ অর্থ যোগানদাতার ফাঁসি দড়িতে ঝুলিয়ে কার্যকর করা হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।

মীর কাসেম আলীর ফাঁসিকে বিচারিক হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছে পাক জামায়াত নেতারা। রোববার ইসলামাবাদে গায়েবানা জানাজার পর বিক্ষোভ করেছে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাক জামায়াতের পেইজে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

এবার মীর কাসেমের জন্য পাকি জামায়াতের কান্না

ভিডিওতে মীর কাসেম আলীকে শহীদ হিসেবে দাবি করেছে পাকিস্তান জামায়াতের নেতারা। তবে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর এর আগেও বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পাকিস্তান জামায়াত।

এদিকে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করার পর এক বিবৃতিতে দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, প্রশ্নবিদ্ধ বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির নেতা ও শীর্ষ অর্থ জোগানদাতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের ঘটনায় পাকিস্তান ‘গভীরভাবে মনক্ষুণ্ণ’।

পাকিস্তানের ওই বিবৃতির পর রোববার বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে তলব করেছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় তাকে বলা হয়, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে পাকিস্তানের কোনো মতামত দেয়ার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মীর কাসেম আলীসহ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ছয় যুদ্ধাপরাধির ফাঁসি কার্যকর করা হলো। এর আগে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছরের মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম। আপিল বিভাগ গত ২৮ আগস্ট রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে কাসেমের মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment