মোল্লার চর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত ১০

মোল্লার চর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত ১০

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উপকন্ঠ মোল্লার চর গ্রামে সরকারি জমি দখলের চেষ্টায় প্রতিপক্ষের হামলা মহিলাসহ প্রায় ১০ জন গুরুত্বর আহত হওয়ায় খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার সময় মোল্লার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণেরও ঘটনা ঘটে।

মোল্লার চর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত ১০

স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, মোল্লার চর গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ও প্রতিপক্ষ আরিফ এর সাথে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে থানায় উভয় পক্ষের একাধিক অভিযোগ করেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। বিরোধীয় জমিতে শুক্রবার সকালে মোল্লার চর গ্রামের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন ঘর-বাড়ী নির্মানের চেষ্টা করেন। এ খবর পাওযার পর প্রতিপক্ষ আরিফ মিঝি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজের জমি দাবী করে বাঁধা প্রদান করে। এ সময় গিয়াসউদ্দিন বলেন, এটা খাস জমি এখানে আমি ঘর উঠাবোই । এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী আরো জানায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই কতিপয় সন্ত্রাসী এসে বাঁধা প্রদানকারী পক্ষ আরিফ ও তাদের লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আরিফ গ্রুপের নাদিম(২০), এবং হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় ভাড়াটিয়া চাঁদপুরের বাসিন্দা সুলতান (১৯)-কে এলোপাথারি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত- পা ভেঙ্গে দেয়। অন্যদিকে নাদিমকে পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পাখি বেগম (২৫) নামের মহিলা তাদেরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। বাকী আহতদের নাম জানাযায়নি। আহতদের স্থানীয়রা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেন। আহতদের মধ্যে নাদিম ও সুলতানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইউনুচ আলীসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

আহত পাখি বেগম অভিযোগ করে বলেন, গিয়াসউদ্দিন ভারাটিয়া সন্ত্রাসীদের এনে আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চালিয়ে সকলকে মারাতœক জখম করেন। আমরা যদি তাদেরকে মারতে যেতাম তাহলে তাদের কোন লোক আহত হল না কেন? তারা আমাদের লোকদেরকে আটকিয়ে রেখে ব্যাপক মারধর করেছে। তিনি আরো বলেন, গ্রামবাসী আমাদের বাঁচাতে যাতে এগিয়ে আসতে না পারে এ জন্য সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মতো ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এ জন্য গ্রামবাসী আতংকে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে সাহস পায়নি।

হামলার বিষয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন, এটা খাসজমি আমরা ৩০-৩৫ বছর ধরে ভোগ দখলে আছি। আজ একটি ঘর নির্মান করতে গেলে আরিফ এসে বাঁধা প্রদান করে এবং শতাধিক ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। আপনাদের কোন লোক আহত হলো না তবে নাদিম এবং সুলতানকে কারা মেরে আহত করেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে গিয়াস বলেন, কারা তাদেরকে মেরে আহত করেছে আমি জানিনা।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুচ আলী জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে এ ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা এলাকায় পটকা ফাঁটিয়ে আতংক সৃষ্টি করেন। এ সময় সুলতান ও নাদিম নামের দু’জনকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হামলায় আহত সুলতানের পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনকন্ঠ

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment