জঙ্গলের আটকে রাখা হয়েছিল সাংবাদিক উৎপলকে

জঙ্গলের আটকে রাখা হয়েছিল সাংবাদিক উৎপলকে

sony tv

বাংলাদেশে দু মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা সাংবাদিক উৎপল দাস জানিয়েছেন, তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটা জঙ্গলের মধ্যে টিন-শেড ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়।ঢাকার একটি অনলাইন পোর্টালের এই সাংবাদিক নিখোঁজ হওয়ার দুইমাস পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয় এবং খবর পেয়ে পুলিশ তাকে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।পরে নরসিংদী থেকে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে উৎপল দাসকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

জঙ্গলের আটকে রাখা হয়েছিল সাংবাদিক উৎপলকে

এই দুমাসের বেশি সময় কোথায় ছিলেন তিনি?
উৎপল দাস বলেন, “আসলে কোথায় ছিলাম সেটা নিজেও জানিনা। আমাকে চোখ বেধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল”। মি: দাস জানান, ধানমন্ডীতে একটি রেস্তোরায় খাওয়া-দাওয়ার পর সেখান থেকে বের হলে একটি গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক।কোথায় রাখা হয়েছিল কিছু ধারণা করতে পারেন কি-না জানতে চাইলে উৎপল দাস বলেন, “আমাকে নেয়া হয়েছিল ধানমন্ডী থেকে। কিন্তু কোথায় নেয়া হয়েছিল কিভাবে নেয়া হয়েছিল এর বাইরে আমি কিছু জানিনা। আমাকে চোখে বেধে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়”।

রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানের সময় বিবিসি বাংলাকে তিনি আরও বলেন “একটা জঙ্গলের মধ্যে একটা টিন-শেড ঘরের মধ্যে আমাকে আটকে রাখে। প্রথমদিকে মাঝে মাঝে বলে এত টাকা আছে তোর আছে তুই টাকা দে। টাকা দিলে তোকে ছেড়ে দেব। তারপর যেহেতু আমি টাকা দিতে পারিনাই শেষদিকে তারা এসে আমাকে বলেছে তুই যেহেতু টাকা দিতে পারিসনাই মেরে ফেলবো”।এরপর মঙ্গলবার তাকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নামিয়ে দেয়া হয়। সেসময় তাকে কি বলা হয়েছিল?

মি: দাস বলেন, “আমাকে তারা বলে, তোর ফোনে চার্জ আছে তুই বাড়ি চলে যা। এই। আমাকে বললো যে পিছনে ফিরে তাকাবি না। আমি আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। আর বললো যে, ৫০ গজ পেছনে একটা পেট্রোল পাম্প আছে, আমি সেই পেট্রোল পাম্পে চলে যাই এবং গিয়ে বাড়িতে ফোন করি”।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment