জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর

জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর


জাবি প্রতিনিধি:-

৩০ ডিসেম্বর জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন জাবি, ২৪ ডিসেম্বর। প্রায় দুই দশক পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২৫ সদস্যের এ প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘীরে ইতোমধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি সিনেটের জন্য ১৯ বছর পর এই প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জাবিতে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরএ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক শেখ মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আমরা নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।’ সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে এবার মোট ১১৯ জন প্রার্থী অংশ নেবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা দুটি প্যানেলে এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা একটি প্যানেলে লড়বেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুটি প্যানেলের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ এবং সাবেক উপাচার্য এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’। অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত প্যানেলটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম। ‘স্বাধীনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী’ নামের এই প্যানেলে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান। এছাড়াও প্রতিনিধি নির্বাচনে ৪৪ জন প্রার্থী প্যানেলভুক্ত না হয়ে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘আমরা ১৯ বছর ধরে এই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। তাই নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে চাই।’ এদিকে নির্বাচনের ফলাফলে নবীন ভোটাররা বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা নবীন ভোটারদের সংখ্যাই বেশি। প্রথমবার ভোট দেয়ার অপেক্ষায় থাকা জনি আলম নামের একজন ভোটার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব সিনেট চাই। যেহতু দীর্ঘদিন ভোট হয় না এবং বেশিরভাগ ভোটারই নবীন, তাই আমি মনে করি নির্বাচনে নবীন ভোটারদের ভোটই ফলাফল নির্ধারণে বেশি ভূমিকা রাখবে।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment