ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

বৃহস্পতিবার ইরানে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এখন বেশ কয়েকটি বড় শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় রাশত ও পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরমানশাহ শহরে বিক্ষোভে বহু মানুষ অংশ নেয়। ইসফাহান, হামাদান ও অন্য কয়েকটি শহরে ছোট পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা ধর্মীয় শাসন ও সরকারের নীতির বিরোধিতায় রূপ নিয়েছে।

বিক্ষোভের সময় তেহরান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সিকে তেহরানের নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি গভর্নর জেনারেল বলেছেন, শহরের একটি স্কয়ারে জমায়েত হওয়া একটি গ্রুপের ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটক করার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়েছে। মৌলিক অধিকারের দাবি ও দুর্নীতির অবসানে সব দেশকে ইরানি জনগণকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানাতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যেভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়?
বৃহস্পতিবার দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল উত্তর-পূর্বের মাশহাদ শহরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে লোকজন রাস্তায় নেমে আসে। কঠোর স্লোগান দেওয়ায় মোট ৫২ জনকে আটক করা হয়েছে।

উত্তর-পূর্বের কয়েকটি শহরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই বিক্ষোভ বৃহৎ পরিসরে সরকারবিরোধিতায় রূপ নেয়। তারা রাজনৈতিক কারাবন্দিদের মুক্তি দাবি করে এবং পুলিশি নির্যাতনের নিন্দা জানায়।

কর্তৃপক্ষের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও শুক্রবার বড় বড় কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়। ২০০৯ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের পর যেভাবে অসন্তোষ দেখিয়ে রাস্তায় নেমে আসে জনগণ, তারপর থেকে এবারের বিক্ষোভই সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী গণ-অসন্তোষ।

জনগণের অভিযোগ কী?
অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও দুর্নীতির অভিযোগে শুরু হওয়া বিক্ষোভ রাজনৈতিক অভিযোগে রূপান্তরিত হয়েছে। শুধু হাসান রুহানি নন, সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিরুদ্ধেও স্লোগান দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভে স্লোগান দিতে শোনা গেছে, ‘জনগণ ভিক্ষা করছে, ধর্মীয় নেতারা খোদার মতো আচরণ করছে’। ক্ষমতাধর ধর্মীয় নেতাদের পবিত্র শহর কওম-এ কঠোর স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment