ধড়িবাজের ১৩ হাজার বছর জেল

থাইল্যান্ডে বিনিয়োগকারীদের স্বল্প সময়ে মোটা অঙ্কের মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার দায়ে এক ধড়িবাজকে প্রায় ১৩ হাজার বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।

পুদিত কিত্তিথরাদিলক নামে ৩৪ বছর বয়সি এক ব্যক্তি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবস্থায় একটি কোম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ তুলে নেন। কল্পিত হিসাব-নিকাষের মাধ্যমে লোভের ফাঁদে ফেলে ১৬ কোটি ডলার হাতিয়ে নেন তিনি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন পুদিত।
বিবিসি অনলাইনের এক খবরে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রায় ৪০ হাজার ব্যক্তি পুদিতের ভুয়া কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৬৫৩টি অবৈধ লেনদেন ও প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে দোষ স্বীকার করায় আদালত তার সাজার মেয়াদ অর্ধেক করে দিয়েছেন। তাকে ৬ হাজার ৬৩৭ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এমএলএম ব্যবসার আদলে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন পুদিত। প্রথমে বিলাসবহুল হোটেলে সেমিনার আয়োজন করে আমন্ত্রিত বিনিয়োগকারীদের লাভের হিসাব দেখানো হয়। পরে তারাই সাধারণ মানুষদের মধ্যে এই তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে গ্রাহক টেনে আনে। পুদিত দেখান- প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট, প্রসাদনসামগ্রী, পুরোনো গাড়ি ও বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিসহ রকমারি ব্যবসার মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত পুঁজি হু হু করে বেড়ে যাবে এবং কয়েক মাসের মধ্যে কোটিপতি হওয়া সম্ভব হবে। নতুন নুতন গ্রাহক বা সদস্য সংগ্রহ করতে পারলেও তাদের অনেক মুনাফা দেওয়া হবে। তার এই পাতানো ফাঁদে পড়ে অনেক সাধারণ মানুষ পথে বসে গেছে।

আগস্ট মাসে গ্রেপ্তারের পর ব্যাংকক রিমান্ড কারাগারে রাখা হয় পুদিতকে। তাকে জামিন দেওয়া হয়নি এবং ওই কারাগারেই এখনো আছেন তিনি।

পুদিতের দুটি কোম্পানির প্রতিটিকে ২০ মিলিয়ন ডলার করে জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রতারণার শিকার ২ হাজার ৬৩৭ ব্যক্তিকে বছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ হারে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment