ও মুজিব তুমি মিশে আছো বাঙালীর প্রাণে প্রাণেঃ মুজিব ভক্ত সুভাষ দাস

ও মুজিব তুমি মিশে আছো বাঙালীর প্রাণে প্রাণেঃ মুজিব ভক্ত সুভাষ দাস

রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ-
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চোখে দেখেননি। কিন্তু দেশের প্রতি তার মমত্ববোধের কথা শুনে তাকে ভালোবেসে ফেলেছেন সুভাষ দাস। তার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শহরের আড়পাড়া গ্রামে। মুজিব ভক্ত এই মানুষটি দৈনিক আগামীর সময়’কে বলেন, শেখ মুজিব শুধু একটি নাম নয়, শেখ মুজিব মানে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই মুজিবকে ভালোবেসে আমি শুধু একবেলা দুপুরের খাবার পেয়েছি।
ও মুজিব তুমি মিশে আছো বাঙালীর প্রাণে প্রাণেঃ মুজিব ভক্ত সুভাষ দাসআমার বাম চোখটা হারিয়েছি। কিন্তু তাতে তার কোনো আপেক্ষ নেই। আমার একটাই চাওয়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার তৈরি মিউজিক ভিডিও ক্যাসেটটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া। সুভাষ দাস একাধারে একজন গীতিকার। একজন সুরকার ও একজন ভাস্কর্য শিল্পী। এ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৬ টি গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তৈরি করেছেন অসংখ্য মাটির ভাস্কর্য। রঙ আর তুলি দিয়ে তৈরি করেছেন শেখ মুজিবের ছবি। বঙ্গবন্ধুর ছবিতে রঙ তুলির আঁচড় দিতে গিয়ে বাম চোখ হারিয়েছেন এই মুজিব ভক্ত সুভাষ দাস। কিন্তু তাতে তার কোন আপেক্ষ নেই। তার এখন একটাই সাধনা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তৈরি করা মিউজিক ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে দেখানো। সুভাষ দাস জানান, সম্প্রতি ‘ও মুজিব তুমি মিশে আছো বাঙালির প্রাণে প্রাণে’ শিরোনামে নিজের লেখা ও সুরে কণ্ঠ দিয়ে একটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করেছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর জন্য। মিউজিক ভিডিওটির চিত্রায়ন করা হয়েছে নিজের হাতে আঁকা শেখ মুজিবের ছবি দিয়ে। তিনি জানান, এর আগে শেখ মুজিবকে নিয়ে তার লেখা ও সুরে ‘মুজিব’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আফজাল হোসেন নামে এক শিল্পী। সম্প্রতি সিডি চয়েসের ব্যানারে সেটি মুক্তি পেয়েছে। সুভাষ দাস বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই গান পাগল মানুষ। শেখ মুজিবকে নিয়ে এ পর্যন্ত ৬ টি গান লিখেছি। সুর করেছি। নিজে একটি গানে কন্ঠ দিয়ে ভারতের কলকাতা থেকে রেকর্ডিং করেছি। এরপর কালীগঞ্জ শহরের মাহতাব উদ্দিন কলেজ মাঠে নিজের আঁকা বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবি দিয়ে ভিডিও করেছি। তিনি বলেন, ভিডিও’র জন্য ৩০ ফুট উচ্চতা ও ২৫ ফুট প্রস্থ বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবি আঁকি। এই ছবি আঁকতে গিয়ে তার ডান চোখে রঙ পড়ে। এরপর চোখে যন্ত্রণা শুরু হয়। ভারতে গিয়ে চোখের অপারেশন করি। ডান চোখ ভালো হওয়ার পর এবার বাম চোখে সব কিছু ঝাপসা দেখি। তিনি বলেন, ‘শিল্পী আর্ট’ নামে নিজের একটি আর্টের দোকান আছে। সেখানে থেকে যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চালায়। আর এসব করেছি। চোখে কম দেখি তাই এখন আর কাজ করতে পারিনা। বাড়িতে ছবি আঁকা শেখায়। এছাড়া রোজগারের কোনো পথ আমার নেই। এই গানের পেছনে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এজন্য অনেক ধার-দেনা করতে হয়েছে। মুজিব ভক্ত সুভাষ দাস বলেন, মাটির তৈরি অনেক ভাস্কর্য নিজে তৈরি করে বিভিন্ন মানুষকে দিয়েছি। বিনিময়ে কোন টাকা নেয়নি। এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে সহযোগিতাও করেনি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ওপর ভিডিওটি ডিস ক্যাবলে প্রচারের জন্য মহেশপুরে যাই। সেখানকার পৌরসভার প্যানেল মেয়র আতিয়ার রহমান আমাকে দুপুরের খাবার খাওয়ান। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জননেতা জনাব মোঃ আনোয়ারুল আজীম (আনার) এমপি মহোদয় বলেন, আমি সুভাষ দাসকে ভালোভাবে চিনি। তার চোখে যে সমস্যা হয়েছে এটা আমি জানিনা। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। এছাড়া তার গাওয়া গানটি আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment