জাবি প্রতিনিধি:-
চলছে ভোট গণনা। বহুল প্রত্যাশিত, বহু আকাক্সক্ষার, অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ১৬বছর পর জটিলতার জাল কেটে নতুন ভাবে বনুন করেছে এক উৎসবমুখর পরিবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ।
কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
‘দল যার যার জাহাঙ্গীরনগর সবার’ এই স্লোগানে নতুন রুপে নতুন গন্ধে ভিন্ন আঙ্গিকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন এবং কলা ও মানবিকী অনুষদ (নতুন) ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত সষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য তার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শেষ হয়।
নির্বাচনে ৪৩৭৩ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে ৩৬৩৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন যা ভোটের সংখ্যায় ৮৩% শতাংশ জমা পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধিদের জন্য নির্দিষ্ট ২৫টি আসনের বিপরীতে ১১৯ জন প্রার্থী লড়ছেন। আওয়ামীপন্থীরা দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ ও বিএনপিপন্থি’ গ্র্যাজুয়েটরা একক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪ জন।
প্রত্যেক প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলাদা আলাদা ভাবে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। সেখানে মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া, দুর্নীতি-অনিয়ম রোধ, শিক্ষা ও শিক্ষার্থী বান্ধব ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষক নিয়োগ এবং মেধার মূল্যায়ন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়াসহ নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ক্যাম্পাসে বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা যোগ্য ব্যক্তিরাই নির্বাচিত হবেন এবং তবে যিনিই নির্বাচিত হন না কেন শিক্ষার্থদের নিয়ে শিক্ষার্থীবন্ধব পরিবেশের জন্য কাজ করবেন এমনটি চায়।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, ‘্আমাদের প্রত্যাশামাফিক ভোট গ্রহন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে। কলা ও মানবিকী অনুষদে ৫৫টি বুথ ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদে ৬৫টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এখন ভোট গণনা হবে। গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১৬ বছর পর জাবির সিনেটে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচিত রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা ৩ বছরের জন্য সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করবেন।