‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে গেছে ক্যামেরা ট্রায়াল’

‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে গেছে ক্যামেরা ট্রায়াল’

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি পাবলিক ট্রায়াল হওয়ার কথা, কিন্তু তা হচ্ছে না। এটি হয়ে গেছে ক্যামেরা ট্রায়াল। এভাবে বিচার কার্যক্রম চলতে পারে না। এখানে আদালতে আইনজীবীদের ঢুকতে দেওয়া হয় না।’ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে নবম দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
‘খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়ে গেছে ক্যামেরা ট্রায়াল’বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে প্রথমে খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার। এরপর তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি যুক্তি উপস্থাপনের শুরুতেই বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। সারাদেশের মানুষ জানে এটি রাজনৈতিকভাবে বিচার করা হচ্ছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে।’ এই বিচার কার্যক্রমকে পশ্চিমা বিশ্বের বিচার কার্যক্রম বলে অভিহিত করেন মওদুদ আহমদ। তার ভাষ্য, ‘মূলত এই ট্রাস্টটি ব্যক্তিগত। জিয়াউর রহমানের নামে কুয়েতের আমির তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে এই টাকা দান করা হয়। এই টাকায় একটি এতিমখানা নির্মাণ করা হয়। বাকি টাকা ব্যাংকে জমা আছে যা বর্তমানে সুদসহ তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ বিষয়ে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী ও তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment