বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আইন, বিচার, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছু আইন অনুযায়ী নয় বরং ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশের মানুষ বর্তমানে অবৈধ নির্দয় শাসকগোষ্ঠীর নির্মম শিকলে বন্দি হয়ে পড়েছে।
শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামীকাল ২০ জানুয়ারি (শনিবার) শহীদ আসাদ দিবস।
৬৯ এর গণআন্দোলনের মহান শহীদ আসাদুজ্জামানের অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ এক অবিস্মরণীয় নাম। সামরিক স্বৈরশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে অকুতোভয় এ বীর সেনানী রাজপথে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তার শোণিতের ধারা বেয়ে স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিলো, অর্জিত হয়েছিলো এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার।’
‘গণতন্ত্রের জন্য শহীদ আসাদের আত্মদান পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজও এদেশে একদলীয় শাসনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে গায়ের জোরে, তাতে গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি সামজিক, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে’ যোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য নিজের জীবন দিয়ে গেছেন শহীদ আসাদুজ্জামান এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে আমরা যদি এদেশের মানুষের মৌলিক ও মানবিক অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলেই তার প্রতি দেখানো হবে যথাযথ সম্মান।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণই সবচেয়ে জরুরী কাজ বলে মনে করি। আর এর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাই।’
শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে অপর এক বার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘১৯৬৯ সালে আইউব বিরোধী গণআন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান যে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, সেটির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বার্তায় এ তথ্য জানা যায়।