নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা তাকে বাঁচতে দিল না, কি এমন অপরাধ ছিল তার?

নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা তাকে বাঁচতে দিল না, কি এমন অপরাধ ছিল তার?

মোস্তাফা কামরুল, ফটিকছড়িঃ-
নিজ গ্রামে চির নিদ্রায় শায়িত আদনান ইসফার , ঘরে কিংবা বাহিরে নিরাপত্তা নেই কোথাও। চারদিকে শুধু খুন আর খুন, চলে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা, ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার, বিভিন্ন স্থানে পেশিশক্তির মহড়া, একে অপরের প্রতি চরম আস্থাহীনতা, দলীয় অন্তর্কোন্দল, হিংসা প্রতিহিংসা।দেশে সন্ত্রাস দুর্বৃত্তায়ন যে কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে তার’ই প্রমান “আদনান ইসফার”। সবে মাত্র নবম শ্রেণীর ছাত্র, কি এমন অপরাধ ছিল তার? যার কারনে নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা তাকে বাঁচতে দিল না। বাচাঁর অনেক আকুতি করেও শেষ রক্ষা হল না তার। হাজারো পথচারী চেয়ে চেয়ে দেখল তার নির্মম হত্যাকান্ড, কেউ বাচাঁতে এগিয়ে আসল না। কি নিষ্ঠুর আমরা, আমাদের সমাজ।
নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষেরা তাকে বাঁচতে দিল না, কি এমন অপরাধ ছিল তার?একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে গেছে তার মা-বাবা ও স্বজনরা, তাদের শান্তনা দেওয়ার ভাষা হয়ত কারো জানা নেই। দেশে সন্ত্রাসী রাজত্ব থেকে মুক্তি কি পাবে না সাধারন জনগণ?, এর দায়ভার কার? রাষ্ট্র, জনগণ নাকি অভিভাবক। নাকি আজ আদনান কাল অন্যজন এই রকম হত্যাকান্ডের শিকার হতে’ই থাকবে। আহাসান হাবীবের ইমামতিতে ১৮ জানুয়ারি বিকালে সন্যাসিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় তাকে। যানাজায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর চৌধুরী, লেলাং ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়া উদ্দীন শাহীন, কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান কাতেব চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান কুতুব উদ্দিন মুহুরী, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন, ফটিকছড়ি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি শহিদুল্লাহ চৌধুরী, আওয়ামী নেতা মিজানুল আলম, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আজম, তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা হাসিবুন সোহাদ চৌধুরী সাকিব প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর ডা. খাস্তগীর স্কুলের সামনে ছুরিকাঘাতে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র আদনান ইসফার (১৫) খুন হয়। সে উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের সন্যাসিরহাট আনোয়ার বাড়ির প্রকৌশলী আজমের এক মাত্র পুত্র।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment