পর্দা উঠল মাসব্যাপী একুশে বইমেলার

পর্দা উঠল মাসব্যাপী একুশে বইমেলার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠল মাসব্যাপী একুশের বইমেলার।

প্রতি বছরের মতো এবারও ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী এবছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

কবিতায় মোহাম্মদ সাদিক ও মারুফুল ইসলাম, কথাসাহিত্যে মামুন হোসাইন, প্রবন্ধে অধ্যাপক মাহবুবুল হক, গবেষণায় অধ্যাপক রফিকউল্লাহ্ খান, অনুবাদে আমিনুল ইসলাম ভুঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে কামরুল ইসলাম ভুঁইয়া ও সুরমা জাহিদ, ভ্রমণকাহিনীতে শাকুর মজিদ, নাটকে মলয় ভৌমিক, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে মোশতাক আহমেদ এবং শিশুসাহিত্যে ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্ত এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের লেখক এগনিস মিডোসম, ক্যামেরুনের ড. জয়েস অ্যাসউন টেনটেন, মিশরের ইব্রাহিম এলমাসরি ও সুইডেনের অরনে জনসন।

রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মেলার পরিসর এবার আরও বেড়েছে।

প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকায় ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে’ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় বাংলা একাডেমি এবং অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করবে। এবারও শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। এই কর্নারকে শিশু-কিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সাজানো হবে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।

বইমেলা ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।

এবারও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বড় পরিসরে ‘নতুন বইয়ের প্রদর্শনশালা’ করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন প্রকাশিত নতুন বই দিনভিত্তিক সাজানো থাকবে। প্রবীণ ও শারীরিকভাবে অসুবিধা আছে এমন মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে হুইলচেয়ারের সংখ্যা গতবারের চেয়ে এবার বাড়বে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনটি এবং বাংলা একাডেমি অংশে দুটি ক্যান্টিন চালু থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment