মুন্সীগঞ্জ বৃদ্ধের গাছের সাথে হাত-পা বেধে বৃদ্ধকে হত্যা কোন গ্রেফতার নেই

মুন্সীগঞ্জ বৃদ্ধের গাছের সাথে হাত-পা বেধে বৃদ্ধকে হত্যা কোন গ্রেফতার নেই

কয়েকদিন ধরে লাশ, লাশের খন্ডিত অংশ তাও একজনের নয়। এরই মধ্যে বৃদ্ধের লাশ গাছে বাঁধা। কি বিচিত্র মানুষ। মানুষের মনুষত্ব বলতে সকল কিছু হারিয়ে ফেলেছে সকলে। কেন এত লাশ! এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোর বেলায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের চুড়াইন গ্রামের মৃত্য ছমির উদ্দিন শেখের পুত্র মোঃ লাল মিয়া শেখের (৬৫) মরদেহ মোঃ মানিক মিয়ার কাঠ বাগান হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাল মিয়া শেখের লাশ পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকান্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এই ইউনিয়ন সহ রামপালে প্রায় সময়ই এ রকমের ঘটনা দেখা মিলতো আজ থেকে প্রায় ১০ বছর পূর্বে। প্রশাসনের কঠোরতা আর এলাকার জনগণের ভুমিকায় দীর্ঘদিন বর্বরতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পায় এ ধরণের ঘটনা।

কিন্তু আবার সেই হত্যা আর ঘুম, হত্যার প্রচলন পুনরাবৃতি ঘটছে। বিশেষ করে রামপাল আর বজ্রযোগনী এলাকা একটু নিরব এলাকা হিসেবেই সন্ত্রাসীরা আবারও তাদের সেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অনেকেরই ধারণা। একটা সময় এই এলাকায় কারো মেয়ের বিয়ে, বিদেশে ছেলে থাকেন, বড় কোন অনুষ্ঠান, সব বিষয়েই চলতো চাদাঁ আর নিরব এলাকায় মার-পিট। গত কয়েক বছরে পুলিশ প্রশাসনের কয়েকটি বড় অপারেশনের কারণেই ঠান্ডা হয়ে যায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।

এ বিষয় বর্তমান ইউনিয়ন ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সোহেল রানা জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর জৈনিক আফজাল লাল মিয়াকে একটি পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়েছে বলে জানান। মৃত্য লাল মিয়া শেখ কেন পাসপোর্ট নিবেন জানতে চাইলে সোহেল রানা জানান, লাল মিয়ার তিন ছেলেই বিদেশে থাকেন। হয়তো বিদেশ নেওয়ার উদ্দেশ্যেই পাসপোর্ট নিয়েছেন। তবে লাল মিয়া খুব ভালো লোক ছিলো বলে এলাকাবাসী জানান।

মৃত্যু লাল মিয়ার স্ত্রীর বড় ভাই মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আমার বোনের জামাই কে স্থানীয় বড়দিয়া গ্রামের আফজাল শেখ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়েছে রাত ৮টার সময় পার্সপোর্ট দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে আর ফিরে আসে নাই। আজ রবিবার (২৫মার্চ) ভোর বেলা মানিক শেখের কাঠ বাগানে তার মৃত্য দেহ গাছের সাথে হাত পা বাধাঁ অবস্থায় দেখা গেলে পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, আমার বোন জামাই খুবই সুখী লোক ছিলো। তার তিন ছেলে এক মেয়ে। বড় মহসিন কাতার থাকেন। মেঝো ছেলে ইটালী, ছোট ছেলে কাতার থাকেন এবং মেয়েটিকে বিয়ে দেয়া হয়েছে তার স্বামী সৌদি আরব থাকে বলে জানান আনোয়ার হোসেন। মৃত্য লাল মিয়া ৮ ভাই এক বোনের মাঝে দ্বিতীয় ছিলো, তাদের মাঝে কোন বিবাধ ছিলো না। তবে গত ৭/৮ বছর পূর্বে একটি মেয়ের হত্যা কান্ড হয় এবং সেই হত্যা মামলাতে মৃত্য লাল মিয়ার ছেলেদেরকে জড়িয়ে মামলাও করা হয় সেই সুবাদে শক্রুতা থাকতে পারে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।

এ বিষয়ে খন্দকার সদর সার্কেল আশফাকুজ্জামান জানান, ঘটনাটি আমরা বিচক্ষণতার সাথে হত্যাকা-টি তদন্ত করছি। খুব সহজেই এ হত্যা কান্ডের মোটিভ উদঘাটন হবে আশা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment