এত বড় অপমান সইবো কীভাবে : এমাজউদ্দিন

এত বড় অপমান সইবো কীভাবে : এমাজউদ্দিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ২৩ মার্চ জার্মানের এক সমীক্ষায় অন্যতম শীর্ষ স্বৈরাচারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া দেশের জন্য লজ্জাকর অভিহিত করে বলেছেন, এ অপমান পুরো জাতির। এ অপমান সহ্য করবো কিভাবে?

 

তিনি বলেন, সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদে লেখা আছে জনগণই ক্ষমতার মালিক। আর জনগণ থেকে যদি কোনো সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সে সরকার টিকে থাকতে পারে না।

 

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত খালেদা জিয়া ও শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপি বিষয়ে ড. এমাজউদ্দিনন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাগারে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে ও সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার তাকে নিয়েও সন্দিহান। এদিকে আবার মহাসচির অসুস্থ। তাহলে বিএনপি সামনের দিনগুলোতে কিভাবে চলবে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন। বিএনপির রাজনীতি কিভাবে চলবে। আমি বলি এ দল তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, দলটি এক অর্থে সাধারণের দল। দলের গঠনতন্ত্রে দল পরিচালনার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে। প্রথম থেকে দশম পর্যন্ত কার কী দায়িত্ব তা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যার যা দায়িত্ব পালন করে চললেই হবে।

 

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালেও চতুর্থ সংশোধনির মাধ্যমে সকলদল বিলুপ্ত করে বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রের টুটি চেপে রেখেছিলো। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করেন। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করেন।

 

সাবেক এ ভিসি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হচ্ছে তার বিচার হচ্ছে না, অথচ দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ বছর কারাদণ্ড। সে দুই কোটি টাকাা আজ ৬ কোটি টাকায় পরিণত হয়েছে। কারণ একটাই, সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়।

 

২০ দলীয় জোট নেতা, সাবেক এমপি ও জাপার একাংশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ ভয়ে আছে। ভয় থেকেই তারা দিশাহারা হয়ে একের পর এক মামলা দিচ্ছে। দুদক দিয়ে কল্প-কাহিনী সাজাচ্ছে। সরকার আগামী নির্বাচনকে বাচাঁমরার হুমকি হিসেবে নিচ্ছে। সরকার যেভাবে হোক ক্ষতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগ ও সরকারকে মনে রাখতে হবে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। না হলে তাদের শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ সরকারের লাগাম টেনে ধরবে একদিন।

 

এমএ বাশারের সভাপতিত্বে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের রহমতউল্লাহসহ ২০দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment