এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে রুই-জাতীয় মা মাছেরা ডিম ছেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ২টা থেকে সকাল ৯টার সময়ে নদীতে জোয়ারের সময়ে রুই জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়লে রাউজান-হাটহাজারী এলাকার ডিম সংগ্রহকারীরা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করতে দেখা যায়। গতকাল রাতে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মা-মাছ ডিম ছেড়েছে। এক বছরের বিরতিতে পুনরায় ডিম সংগ্রহ করতে পেরে আনন্দিত হালদা তীরের মৎস্যজীবীরা। ঠিক গত বছর শুক্রবার (১-এপ্রিল) সকালে রুই জাতীয় মা-মাছ ডিম ছেড়েছিল। প্রায় এক বছর বিরতির পর (২০-এপ্রিল) শুক্রবার রাতে হালদা নদীতে মা মাছেরা ডিম ছেড়েছে। এসময় দেখা যায় নৌকায় করে সেই ডিম সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হালদা তীরের মানুষরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সকালে হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, হালদা এশিয়ার মহাদেশে মধ্যে একমাত্র নদী যেখান থেকে প্রাকৃতিকভাবে মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়ে থাকে প্রতি-বছর বর্ষা সময়ে। এপ্রিলে বৃষ্টিপাত শুরু হলে অন্যান্য নদী থেকে এসে রুই জাতীয় মা মাছেরা হালদার কয়েকটি স্থানে ডিম ছেড়ে থাকে। এবার রাম দাশ হাট হতে অংকুরী ঘোনা পর্যন্ত বেশ-কিছু স্থানে ডিম ছেড়েছে মা মাছেরা, এছাড়া আজিমের ঘাট, নাপিতের ঘোণা, কাগতিয়া টেক, পুড়াকপালী, সিপাহীর ঘাটসহ হালদা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে এলাকার ডিম সংগ্রহকারীরা নদী থেকে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করে। স্থানীয় ডিম সংগ্রহ কারীরা এ পর্যন্ত প্রায় প্রতি নৌকায় ৩-৪ বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে, হালদা নদী থেকে মাছের ডিম সংগ্রহ করে ডিম সংগ্রহকারীরা এখন ডিম ফুটানোর কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন। হ্যাচারি ও হালদা নদীর তীরে মাটির কুয়ায় ডিম ফুটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসার অামিনুল ইসলাম দৈনিক অাগামীর সময়কে জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে নদীতে জোয়ারের সময়ে রাত অানুমানিক ২টা থেকে সকাল ৯পর্যন্ত হালদা নদীতে মা-মাছ ডিম ছাড়ছে। ৪’শতাধিক নৌকায় অর্ধসহস্রাধিক ডিম সংগ্রহকারী হালদা নদী থেকে মাছের ডিম সংগ্রহ করেন। তারা এসময়ে হালদা নদী থেকে বেশ-কিছু ডিম সংগ্রহ করেন বলে জানান তিনি।