ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া। ভারতের কর্ণাটকে কংগ্রেসের হাত ধরে সরকার চালাচ্ছে দেবেগৌড়ার দল জেডিএস।
লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের জোট গঠনের প্রক্রিয়াসহ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে স্পষ্ট করে কোনো কথা এখনই বলতে নারাজ রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের দাবি, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষিত হলে নির্বাচনের ফলে তার প্রভাব পড়বে। এসবের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতার নামে আপত্তি নেই বলে স্পষ্ট জানালেন দেবেগৌড়া।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলো নিয়ে জোট করতে বিশেষ ভূমিকা নেবে কংগ্রেস। তাছাড়া বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে একজোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের কাজ এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান দেবেগৌড়া। ১৯৯৬ সালে দেশে শেষবার তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গঠন হয়েছিল। তবে তার মেয়াদ বছর পার করেনি।
ভারতের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকে বিরোধী দলগুলোকে কাছাকাছি আনতে আরও বেশি করে চেষ্টা করছেন মমতা। এনআরসি’র বিরোধিতা করে বিজেপির সামনে বাধা তৈরি করার পাশাপাশি অন্য বিরোধী দলগুলোরও সাহায্য চাইছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হলে তার কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে দেবেগৌড়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৭ বছর কাজ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। শুধু পুরুষরা কেন প্রধানমন্ত্রী হবেন। মমতা বা মায়াবতী কেন নয়?
