সান্তাহারে টানা বর্ষনে প্লাবিত এক হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান পানির নীচে

 জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষনে বগুড়ার সান্তাহারসহ উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এক হাজার হেক্টর সদ্য রোপনকৃত আমন ধানগাছ পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। অপর দিকে জলাবদ্ধতার কারনে ধান বীজতলা ডুবে নষ্ট হওয়ায় অনেক কৃষক এখনও জমিতে আমন ধান রোপন করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে এবার আমনের আবাদ আশানুরুপ না হওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাযায়, সান্তাহার পৌরসভাসহ উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদ মিলে এবার ১২ হাজার ৫০০শত হেক্টর জমিতে হাইব্রিডজাত, উফশিজাত এবং স্থানীয়জাতের রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগিয়ে ছিলেন। এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারনে নদী নালা গুলোতে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় সান্তাহারের নি¤œাঞ্চলের দমদমা, সান্দিড়া, প্রসাদখালি ও পাশের্র্^য় কদমা, করজবাড়ী, দক্ষিন গনিপুর, রামপুরা, কাশিমালা, জোড়পুবুরিয়া,পূর্ব মুরইল, নসরতপুর, ধনতলাসহ প্রায় ১৯/২০টি গ্রামের মাঠে জমিতে পানি উঠে প্লাবিত হয়েছে এতে এক হাজারেরও অধিক সদ্য রোপন করা আমন ধান পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। এছাড়াও অধিকাংশ মাঠের ধান বীজতলা ডুবে নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষক আফছার আলী,জাকির সরদারসহ অনেকেই জানান, বন্যার পানি সরিয়ে গেলেও বীজ সংকটে কারনে জমিতে ধান রোপন করা কঠিন হবে। সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, সান্তাহারসহ উপজেলার নি¤œাঞ্চলের পানি নিস্কাশনের জন্য রাণীনগরের রাবারড্যাম অপসারন করা হলেও অজ্ঞাত করনে এ এলাকার মাঠের পানি আশনুরূপ ভাবে নিস্কাশন সম্ভব হচ্ছেনা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কামরুজ্জামান জানান, অল্পদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত বন্ধ ও পানি সরিয়ে গেলে রোপা আমন ধানের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবেনা। তবে ক্ষতির পরিমান এখনও নির্ধারন করা হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment