নরসিংদীতে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত খামারিরা

নরসিংদীতে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত খামারিরা
আর মাত্র ক’দিন বাদেই কোরবানির ঈদ। তাই নরসিংদীর খামারিরা পশু বিক্রি করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। তাদের চাওয়া যেন কোরবানিতে দেশের বাইরে থেকে পশু আমদানি করা না হয়।
নরসিংদী জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলছেন, এ বছর নরসিংদীতে ২৬ হাজার ৩৫৩টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যেই ১৬ হাজারের অধিক কোরবানি যোগ্য পশু খামিরারা বিক্রয় করেছে। সব মিলয়ে এ বছর লেনদেন হবে কয়েক কোটি টাকার।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে নরসিংদী জেলায় প্রায় ১০ হাজারের অধিক কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে নরসিংদী সদর উপজেলায় ৭৩২টি ষাড়, ৭০টি বলদ, ১০২টি গাভি, ২১টি মহিষ, ১৫৪টি ছাগল, ২৭টি ভেড়াসহ অন্যান্য পশু রয়েছে আরো ১০টি। রায়পুরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যানুযায়ী ১ হাজার ৪শত ১০টি ষাড়, ৬৪টি বলদ, ২২টি গাভি, ৩৯টি মহিষ, ২শত ২৭টি ছাগল, ৪টি ভেড়া রয়েছে। বেলাব উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যানুযায়ী ৯শত ৭৬টি ষাড়, ৬৫টি বলদ, ৩৬টি গাভি, ১শত ১টি মহিষ, ৭৮টি ছাগল ও ২টি ভেড়া রয়েছে। পলাশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যানুযায়ী ৬শত ৮৮টি ষাড়, ১শত ২৮টি বলদ, ২শত ৩৩টি গাভি, ১৬টি মহিষ, ২৮১টি ছাগল ও ২৬টি ভেড়া রয়েছে। শিবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যানুযায়ী ১ হাজার ১শত ৪টি ষাড়, ৬০টি বলদ, ৬২টি গাভি, ৬৪টি মহিষ, ১শত ৮৯টি ছাগল, ৪২টি ভেড়া রয়েছে। মনোহরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যানুযায়ী ১ হাজার ৬শত ১৩টি ষাড়, ১শত ৭৬টি বলদ, ৬০১টি গাভি, ১১টি মহিষ, ৫১১টি ছাগল ও  ৮২টি ভেড়া রয়েছে।
নরসিংদীতে ৩ হাজার ৫৩৮ জন ব্যক্তি পশু খামারে এখন রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পশু পালন করছেন। গরু মোটাতাজা করতে ঘাসের পাশাপাশি শুধু প্রাকৃতিক খাবারই খাওয়ানো হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন। খামারের এসব গরু দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকে ৬ থেকে ৯ মাস আগে কিনে এনে তা বেশি দামে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসদুজ্জামান বলেন, আমাদের নরসিংদীতে ছোট খামারি এবং বড় খামারি সব মিলিয়ে খামারির সংখ্যা ৩ হাজার ৫৩৮ জন এবং মোট কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৫৩টি। গতবারের তুলনায় এবার ৭২% বেশি। নরসিংদীতে খামারিরা আমাদের পরামর্শে  প্রাকৃতিকভাবে যে খাবার আছে তাই পশুকে খাওয়াচ্ছে। যেমন ভুট্টার গুড়া, গমের গুড়া, চাউলের গুড়া, লবন, খেসারীর ভূষি ইত্যাদি এবং লোকাল যে খাবার আছে সবুজ গাস তা খাওয়ানো হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে ৭টি ভেটেনারী মেডিকেল টিম স্থায়ী হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক কর্মরত থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment