নওগাঁর অবৈধ্যভাবে জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

 নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর পতœীতলায় আব্দুল মজিদের ক্রয়কৃত প্রায় ৬ একর জমি অবৈধ্যভাবে জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার ২৪ দিনেও আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় তারা অনিরাপত্তায় ভুগছেন। ঘটনায় নওগাঁ সাংবাদিক ইউনিয়নের মুক্তির মোড়ে কার্যালয়ে গতকাল বুধবার দুপূরে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তোভুগী পতœীতলা থানা সদরের আজমতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল মজিদ। এ সময় তার ভাতিজা মোকলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে আব্দুল মজিদের লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, ১৯৮২ সালে খোশ কবলা দলিল মূলে মহেষপুর মৌজার আরএস খতিয়ান-৬৬৯, হাল দাগ নং-২৪৩৭, ২৭০৯, ২৭১৮, ২৮২০ এবং ২৮২১ এ মোট ৫. ৫৩ একর শ্রী চরণ দাসের ছেলে গোপেশ্বর দাস বৈরাগীর কাছ থেকে ৯টি দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় গত মাসের ১৭ তারিখে জমিতে সার-বীজ দিতে গেলে মহেষপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে নজিমদ্দিন, মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ইউসুফ আলী, মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে ২২ জন দলবদ্ধ হয়ে তাদের সম্পত্তি দাবি করে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা ও মারপিট করেন আব্দুল মজিদ ও তা ভাই লুৎফর রহমান। এতে ঘটনায় থানায় পরদিন ২২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামীর প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি। এরপর মামলার আসামীরা তাদের (আব্দুল মজিদ গং) প্রাণ নাশের দিয়ে ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্তায় নিরাপত্তায়হীনতায় রয়েছেন। নজিমদ্দিন জানান, ওই সম্পত্তি সরকারি। আব্দুল মজিদের সম্পত্তি নয়। আমাদের গ্রাম হওয়ায় ওই সম্পত্তি ভোগদখলের জন্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন ভূমিহীন লোকজন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ চৌধুরীর সুপারিশ নিয়ে সরকারের কাছে লীজের আবেদন করা হয়েছে। মারপিটে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ চৌধুরী জানান, আমি নজিমদ্দিন গংদের কোন সুপারিশ করিনি। ওই সম্পত্তি সরকারি কিনা তা সঠিক জানা নেই। ওই সম্পত্তি দাবি করে তাদের মারপিট করে ঠিক করেননি। তিনি আরো বলেন, জমির কাদের তা নির্ধারণ করবে বিজ্ঞ আদালত। মারপিট করার ঘটনায় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পতœীতলা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) শাহাদত হোসেন জানান, আসামীরা সবাই বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নেয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিনের সেল ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment