বেনাপোল সড়কের শতবর্ষী গাছের পচন ধরা ডাল ভেঙে পড়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা

শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি॥

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই ধারে শতবর্ষী বড় বড় গাছগুলো সঠিক ভাবে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব গাছ বয়সের ভারে অনেক ডালে পচন ধরে ডালপালা শুকিয়ে যাচ্ছে। আর এগুলো ভেঙে নিচে পড়ে পথচারীরা হতাহতের শিকার হচ্ছেন।

বিভিন্ন বাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশের গাছগুলোর গোড়ায় বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকান। এছাড়া যশোর-বেনাপোলের মতো এমন হাইওয়ে ব্যস্ততম সড়কে সার্বক্ষণিক বিভিন্ন যানবাহনের অবাদ চলাচল ফলে এখানকার গাছগুলো দুর্বল হয়ে ডালপালা শুকিয়ে মারাত্বক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

৩৮ কিলোমিটার সড়কের দু’ধারের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় গাছ প্রায় মরে শুকিয়ে যাওয়ার মত হয়ে গেছে। এসমস্ত গাছ যখন তখন ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

এছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন বাজার সংলগ্ন অনেকগুলো গাছের ডাল শুকিয়ে গেছে। যে কোন সময় ডাল পড়ে পথচারীসহ যানবাহনের ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শুকনো উঁচু গাছের কান্ড গুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ব্যবস্থা না নিলে যখন তখন জনবহুল এলাকার এ গাছ গুলো বা এর ডালপালা পড়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

ইতোমধ্যে এসব গাছের বেশ কিছু মোটা ডাল পালা শুকিয়ে লোকসমাগমের এ স্থান গুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মহাসড়কের পাশের অনেক গাছগুলোর গোড়ায় তেমন মাটি নেই। গাছেরও মোটা মোটা ডাল শুকিয়ে মানুষের মনে ভয়ানক ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ আমলের গাছগুলোর কাটা এবং না কাটা নিয়ে বিভিন্ন তর্কবিতর্ক হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সঠিক সিদ্ধান্তের খবর সাধারণ মানুষের কানে না আসলেও গাছ কাটার বিষয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই জনগনের মাঝে।
ভীতিস্বভস্ত মানুষ গুলো বলছেন, গাছ থাকুক আমরা চাই কিন্তু পথচারীসহ সড়কের পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন যানবাহন স্টান্ড চলাচলরত বিভিন্ন ছোট বড় পরিবহন গুলো বাড়তি ঝুঁকি বহন করছে। সচেতন মহল বলেন, তারা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করেন। জনবহুল এ শহরের প্রাণকেন্দ্রে বড় বড় গাছের শুকনো ডাল পড়ে প্রায়ই পথচারীরা আহত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের উচিত গাছের ঝুঁকিপূর্ণ শুকনা ডালগুলো কেটে ফেলার ব্যবস্থা করা।

এলাকাবাসী জানান, ছোট ছোট শুকনো ডালপালা গুলো প্রায়ই ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে এতে করে ছোট ছোট আহতের ঘটনা ঘটছে যা প্রিন্ট বা ইলেকট্রিক মিডিয়াই খবর হয়ে আসে না। এখন বর্তমান অবস্থাতে মনে হচ্ছে ডাল ভেঙ্গে মৃত্যুর মিছিল না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় কতৃপক্ষের দৃষ্টি কাড়বে না।

শার্শা সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আমিনুর রহমান বলেন, গাছ মানুষের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। এ গাছ যাদের কারণে এবং যে কারণে মরে যাচ্ছে সেটা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তিনি বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে অতি শীঘ্রয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা না হলে বর্ষায় পঁচা গাছের শুকনো ডাল পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

গাছের শুকনো ডাল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই হাইওয়ে সড়কের গাছগুলো ঘুরে ঘুরে দেখে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। ঝুঁকিপূর্ণ গাছ ও গাছের ডাল কাটার জন্য যশোর জেলা প্রশাসক এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ খুব তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা করেন যশোর-বেনাপোল এর ব্যস্ততম হাইওয়ে মহা সড়কে চলাচলকারী সচেতন মহল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment