জগন্নাথপুরের নলজুর সেতুর সেই ধ্বসে যাওয়া এপ্রোচে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে 

https://www.youtube.com/watch?v=C7EnEHUzG2w&t=31s

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরের নলজুর সেতুর ধ্বসে যাওয়া এপ্রোচে দীর্ঘ  ৯ মাস পর ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে  সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ই সেপ্টেম্বর)  সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও নামক এলাকায় নলজুর সেতুর এপ্রোচ ধ্বসে যাওয়ার  দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস অতিবাহিত পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ধ্বসে যাওয়া এপ্রোচে ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে  সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ভোগান্তির পর সংষ্কার কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়  লোকজন উপস্থিত থেকে এপ্রোচ এর সংস্কার  কাজ অবলোকন করছেন। সংস্কার কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা বিরামহীন ভাবে কাজ করছেন। এসময় কথা হয় ঘোষগাঁও গ্রাম নিবাসী  ছানার মিয়া একান্ত আলাপকালে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস আগে এই সেতুর এপ্রোচ সড়ক ধসে যাওয়ায় সড়ক দিয়ে পাঁয়ে হেটে যাতায়াত করছি। যানবাহন চলাচল বন্ধ । এখন কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মিয়া বলেন, প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে  নির্মিত এই সেতুটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা হলেও সেতুর একপাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক আজো হয়নি। অন্য পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ৯ মাস হয় ধ্বসে পড়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকার আলোচনা করেছি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানাযায়,বিগত ২০১৩ সালে নলজুর নদীর উপর ঘোষগাঁও নামক স্থাণে ৩৯.১৫ মিটার গার্ডার সেতু প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে  নির্মাণ করা হয়। সেতুর পূর্বপাশে এপ্রোচ সড়কের জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকায় বিকল্প অ্যাপ্রোচে সেতুটি চালু করে সেতুর মুল নকশা অনুযায়ী অ্যাপ্রোচ সড়কের জায়গার ভুমি অধিগ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জগন্নাথপুর উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ৯৬ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে  ক্ষতিগ্রস্থ সংযোগ সড়কে বেইলি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সুনামগঞ্জের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নুরুল ইসলাম ট্রের্ডাসএ কাজ করছে। সেতুর অপরপ্রান্তের এপ্রোচ সড়কে ভুমি অধিগ্রহনের কাজ চলছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, নলজুর সেতুটি উপজেলা সদরের সাথে তিন ইউনিয়নের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। সেতুটির একপাশে সেতুর মুল নকশা অনুযায়ী এপ্রোচ সড়ক না থাকায় এবং অপরাংশের এপ্রোচ সড়কে ৯ মাস ধরে কাজ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বিষয়টি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নজরে এনেছি।
এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ “দৈনিক আগামীর সময়”কে বলেন, আমি এ জেলায় নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে নলজুর সেতুর ভুমি অধিগ্রহনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিব।
উল্লেখ্য,  বিগত বছরের ৬ ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর  উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোষগাঁও নামকমস্থানে নলজুর সেতুর অপ্রোচ ধসে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেড়ে যায় সামীহীন জনদূর্ভোগ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment