শফিকুর রহমান ,কলারোয়া, সাতক্ষীরা: –
কলারোয়ায় সাড়ে তিন বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ০৬|১১|১৮ তারিখ মঙ্গলবার বিকাল তিনটার সময়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙ্গা মোড় এলাকায় এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে । সরেজমিনে জানা গেছে, কাকডাঙ্গা মোড়ের পাশ্ববর্তী বাসিন্দা মিকাইলের তিন বছরের শিশু কন্যা দুপুরের খাওয়ার পর বাড়ির আঙিনায় খেলা করছিল ঠিক এমন সময় স্থানীয় আজিজুলের দৌহিত্র রাসেল (১৪) তাকে ভুলিয়ে পাশ্ববর্তী টেন্টির পুকুর এলাকার ঘন জঙ্গলে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে পালিয়ে যায়। এর পর এলাকা বাসী তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে ।এবং তাৎক্ষনিক ভাবে ধর্ষক বখাটে রাসেলকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। বিষয়টি জানা মাত্রই সাতক্ষীরা সার্কেল এস পি মেরিনা আক্তারের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ও কলারোয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করেন। এবং ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করেন। আরও জানা যায়, জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ভিকটিমকে সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা জানান, আমি জীবিকা নির্বাহের জন্য ভোমরায় ছিলাম। ফোনে বিষয়টি জানতে পেরে বাড়িতে আসছি।আমার মেয়ে উঠানে খেলা করার সময় রাসেল (ধর্ষক) তাকে ভুলিয়ে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে ।আমার বাচ্চা মেয়েটি এখন অসুস্থ ।আমি এর ন্যায্য বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । এ ব্যাপারে ৫ নং কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এস এম আফজাল হোসেন হাবিল বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।তারা উভয়েই অপ্রাপ্তবয়স্ক ।ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপের পর সত্যতা জানা যাবে। এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ জনাব মারুফ আহমেদ বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের সার্কেল এস পি মহোদয়ের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করাহয়েছে।এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে । সাতক্ষীরার সহকারী পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার জানান,আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা ভিকটিমকে সাতক্ষীরার ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছি।তার চিকিত্সা চলছে ।আজই তার পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হবে।এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি অবহিত করেন। এলাকাবাসী এ রকমের ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
