সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-ধুনট আসনে সাধারণ ভোটারদের আস্থা নারী প্রার্থী রুপাতে

শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ইতিমধ্যে সাক্ষাতকার পর্বও শেষ করেছেন আগ্রহী প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক দলের পুরুষ প্রার্থীর সাথে পাল্লা দিয়ে নারী প্রার্থীরাও এ নির্বাচনে অংশগ্রহনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহও সমান তালে। সময় বদলেছে, পরিবর্তন এসেছে অনেক ক্ষেত্রেই এরই ধারাবাহিকতায় পাশ্চাত্য দেশগুলোর মতো নারীরা অনেকাংশেই বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বেশ সফলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে এবং অদম্য আগ্রহ নিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন এক বিনয়ী, বিদ্রোহী নারী ‘সহকারী এটর্নী জেনারেল বাংলাদেশ’ জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় তৎকালীন সময়ে বগুড়া সরকারি মজিবর রহমান মহিলা কলেজে ১৯৮৫-৮৭ সাল পর্যন্ত ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্নুজান হলের ১৯৮৯-৯৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভানেত্রী হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা আইনজীবি পেশায় নিয়োজিত হয়ে ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। বর্তমানে তিনি সহকারি এর্টনির জেনারেল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিগত ২০০৯ সাল থেকে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিভৃত পল্লী কৈগাতী গ্রামে জন্ম নিয়ে আজ সারাদেশের মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছেন তার কর্ম গুনে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ এলাকা বগুড়ার শেরপুর-ধুনটে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে আসছেন। অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন রুপা। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিও তার ঝোঁক রয়েছে অনেক। এখন তিনি স্বপ্ন দেখছেন আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হয়ে জনগনের সেবা করা। সেই লক্ষে ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গন সংযোগ ও বাচনভঙ্গীতে সাধারণ জনগণ তথা ভোটাদের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়ে আস্থাভাজন হয়েছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী এই প্রার্থী। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহনে আগ্রহী প্রার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা এ প্রতিবেদককে জানান- দল আমাকে মনোনয়ন দিলে, দলীয় লোকজন ও সাধারণ জনগনের পাশাপাশি নারীদের সাথে নিয়ে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতে পারব, এবং নির্বাচিত হলে সরকারের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষ ও নারী সমাজের জন্য কাজ করব। শেরপুর-ধুনট উপজেলার বিভিন্ন জনপদ ঘুরে বেশকিছু দলীয় লোকজন, সাধারণ জনগন এবং নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেরপুর-ধুনট এলাকায় এখনো কোন নারী সংসদ সদস্য অংশগ্রহন করে নাই। এবার যদি কোন নারী নির্বাচনে আসেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা তাকে বিজয়ী করার জন্য চেষ্টা করব বলে এমনটাই বলছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে দলীয় মনোনয়ন হলে বেশি ভালো হয়। এমন অবস্থা থেকে বোঝা যায়, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দলীয় লোকজনের বাইরেও নারীদের অনেকেই এগিয়ে আসবেন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। এলাকাবাসীর মাঝে এমন মানসিকতা দেখে বোঝা যায়, দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হতে পারেন রুপা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment