নাসিরনগরে চলছে দেশীয় পুঁটি মাছের চ্যাপা শুটকী তৈরীর ধুম।

 মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

জেলার সর্ব উত্তরে অবস্থিত হাওড় বেষ্ঠিত অঞ্চল নাসিরনগর। এখানে চলছে বিভিন্ন বিলের সুস্বাধু মিঠা পানির দেশীয় পুঁটি মাছের চ্যাপা শুটকী তৈরীর ধুম। নাসিরনগরের উত্তরে, জেলে পল্লীর ধারে, নদীর পাড়ে বাঁশের মাঁচা তৈরী করে এ সব শুটকী শোকানো হয়। জেলে পাড়ার মহিলরা সকাল থেকে মাছ কুটা,কাটা ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় পরিমল দাস, লোদন দাস, শুধাংশু দাস,সুশীল দাস, কংস দাস, নিপেন্দ্র দাস ও মঙ্গল দাসের ৭টি মাচায় চলছে মাছ শোকানোর দৃশ্য।বিলের মিঠা পানির পুঁটি মাছ দিয়ে তৈরী হয় অত্যন্ত প্রিয় চ্যাপা শুটকী।যা ভোজন রসিকদের রসনার স্বাদ মেঠাতে এই চ্যাপা শুটকী অত্যন্ত প্রিয় খাবার। দেশে তৈরী এ সমস্ত চ্যাপা শুটকী চলে যায় দেশের বাহিরেও। শুধাংশু দাস জানায় প্রতি কেজি দেশীয় পুঁটি মাছের চ্যাপা শুটকী ৭শ থেকে ৮শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। অনেক প্রবাসীরাও বাংলাদেশ থেকে এ চ্যাপা শুটকী বিভিন্ন দেশে নিয়ে যায়। বর্তমানে নাসিরনগরের বিভিন্ন হাওড় ও বিলে মাছ ধরার মৌসুমে পাওনা যাচ্ছে না চ্যাপা শুটকী তৈরীর দেশীয় মিঠা পানির পুটিঁ মাছ। পরিমল দাস জানান এ সমস্ত পুঁিট মাছ এখন হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওড় থেকে ক্রয় করে এনে চ্যাপা শুটকী তৈরীর জন্য শুকানো হচ্ছে। চ্যাপা শুটকী তৈরীর কাজে নির্মিত মাচার মালিকরা এ প্রতিনিধিকে জানান প্রয়োজনীয় অর্থ সংকটের অভাবে তারা এ ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে পারছে না। সরকার যদি এ চ্যাপা শুটকী তৈরীর কাজে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্ধ দিতেন তাহলে তারা এ ব্যবসাটি ভালভাবে চালিয়ে যেতে পারতেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে এই ব্যবসা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই চ্যাপা শুটকীর ব্যবসায়ীরা এ খাতে সরকারের অর্থনৈতিক সহযোগিতা চায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment