নির্বাচন সুষ্ঠু হোক বিএনপি তা চায় না বলেছেন কামরুল ইসলাম ।

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের মানুষের স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা ক্ষমতায় আশার পর থেকে দেশের মানুষকে আবার স্বপ্ন দেখাতে দেখাতে দেশকে আজ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত করেছেন তিনি।

আজ রবিবার দুপুর ১২টায় ঘাটারচর লাবনী পয়েন্টে মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশের মানুষের কতটুকু ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে তার উপর নির্ভর করে দেশের জনগণ আগামী একাদশ নির্বাচনে ফের আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনবে। দেশের মানুষ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার আমলে সবচেয়ে বড় পাওনা হচ্ছে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে কেলেংকারীর অপবাদ দিয়ে তাদের দেওয়া অর্থ ফিরিয়ে নেন। শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজ অর্থায়ানে পদ্মা সেতুর কাজ চলছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সমুদ্র সীমানা বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার হাত দিয়ে আজ দেশে দারিদ্রতার হার নিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে দেশে ১৬৪ টি প্রকল্প চালু করেছে। যা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নাই।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলেই শ্রমীকদের মজুরি বৃদ্ধি, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থাপন বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বৃদ্ধি, মার্তৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শেখ হাসিনা হাত ধরেই আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয়করণ, বছরের প্রথম দিনে ৩৬ কোটি নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের একজন নন্দিত নেত্রী। বিশ্বের পাঁচজন সৎ নেত্রীর মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বিশ্বের ১০জন রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে তার অবস্থান।

দেশ আজ সকল বিভাগে এগিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবারো দরকার শেখ হাসিনা সরকার। নির্বাচনকে কলুসিত করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা বিদেশিদের কাছে ধন্যা দিচ্ছেন। তারা আগুন সন্ত্রাস করে শিশু, পুলিশসহ সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আগামী নির্বাচনে লড়াই হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির মধ্যে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হোক একটি মহল তা চায় না। তাই নির্বাচন বানচালের জন্য কিছু ষড়যন্ত্রকারী ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাধারণ জনগণ সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য সার্বজনীনভাবে ঐক্যবদ্ধ আছে। নির্বাচনে ব্যালোটের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তিকে সমীচীন জবাব দেওয়া হবে। যার যার অবস্থান থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। এ সব ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস না শেখানোর জন্য নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আগে নির্বাচনে ১০টি হোন্ডায় ২০ জন গুন্ডা কেন্দ্র দখল করেছে। এখন আর সে দিন নাই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য, সন্ত্রাস মুক্ত দেশ গড়ার জন্য আগামী নির্বাচনের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ফের শেখ হাসিন সরকারকে ক্ষমতায় আনবে।

মতবিনিময় সাভায় আরো উপস্তিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রীর সহধর্মিনী তায়েবা ইসলাম, ছেলে ডা. তানজিল ইসলাম অদিত, ঢাকা জেলা যুবলীগ সভাপতি ষসফিউল আযম খান বারকু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন বিপ্লব, আওয়ামী লীগ নেতা হাজি আলাউদ্দিন, মডেল থানা যুবলীগ সদস্য নাজিন উদ্দিন নাজিম, স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা মো. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক প্রমুখ।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment