সাভারে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

সাভারে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

সাভারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনায় বন্ধুদের ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত দুই বন্ধু মিঠু ও প্রান্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় সাভারের চাপাইন এলাকায় অবস্থিত পক্ষাঘাত গ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) মেলায় ঘুরতে গেলে তাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মো. সোহাগ হোসেন (১৪)। সে পরিবারের সঙ্গে পৌর এলাকার চাপাইন মহল্লার ইসমাইল হাজির বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় স্টুডেন্ট স্কুল অব বাংলাদেশ এর ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।

নিহতের বন্ধু আসিফ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিআরপি’র ভেতরে মেলায় ঘুরতে যাই। সেখানে মিঠু ও প্রান্ত নামের সোহাগের আরও বন্ধু ঘুরতে আসে। তাদের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মিঠু একটি ছুরি বের করে সোহাগের পিঠে ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় সোহাগ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন আমরা দৌড়ে সোহাগের কাছে গেলে মিঠু ও প্রান্ত দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার চণ্ডীপুর গ্রামের মো. লিটন ইসলামের ছেলে হাসিব হাসান প্রান্ত (১৬) এবং সিরাজগঞ্জের মুক্তার হোসেনের ছেলে মো. মিঠু হোসেন (১৬)। এদের মেধ্যে প্রান্ত চাপাইন সরকারি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত এবং মিঠু বর্তমানে পড়াশুনা বাদ দিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস বলেন, ঘটনার পর পরই পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। পরে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে দুই হত্যাকারী মিঠু এবং প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সোহাগকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে শনিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে এবং আদালত তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment