নিউজিল্যান্ডে হামলা নিয়ে যা বললেন ফারুকী ও অনন্ত জলিল

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে। ওই হামলায় তিন বাংলাদেশিসহ নিহত হন ৪৯ জন। এছাড়াও আহত হন আরো ৪৮ জন। মসজিদে ৫ মিনিট দেরিতে যাওয়ার কারণে প্রাণে বেঁচে গেলেন নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এই সন্ত্রাসী হামলার খবরে ক্ষুব্ধ দেশবাসী। নিজেদের ক্ষোভ, ভয় আর হতাশা তারা ব্যক্ত করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ওই ঘটনায় জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন ফেসবুকে।

ফারুকী লিখেছেন, ‘যখন একজন খ্রিস্টান #শ্বেতাঙ্গ অধিপত্যবাদী মসজিদে মানুষ হত্যা করে, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম সেটিকে “গণহত্যা” বলে প্রচার করে। কিন্তু যখন কোনো মুসলিম হামলা করে এবং মানুষ হত্যা করে, তখন একে প্রচার করা হয় “সন্ত্রাসবাদ” হিসেবে। প্রিয় পশ্চিমা মিডিয়া, আপনারা কবে এই দুটি বিষয়কেই সন্ত্রাসী হামলা বলে আখ্যা দিবেন? আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনাদের এই পক্ষপাতিত্ব বিশ্বব্যাপী ঘৃণা বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে?’

পর তিনি বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লিখেন, ‘দেখে ভালো লাগছে কিছু পশ্চিমা মিডিয়া ও রাজনৈতিক নেতারা একে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলতে শুরু করেছে। যদিও তা কয়েক ঘণ্টা পরে! আর দেরি না করা উত্তম। অন্যদের তা অনুসরণ করা উচিত।’

অন্যদিকে অনন্ত জলিল গতকাল রাতে তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আসসালামুআলাইকুম, আশা করি আল্লাহ আপনাদের সবাইকে হেফাজতে রেখেছেন। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ। আমার এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসীদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এমন সংবাদ আমি কল্পনাও করতে পারি না। আল্লাহ্তাআলা নিহতদের শহীদি মর্যাদা দান করে, উনাদের জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমরা সবাই নিহত মুসল্লীদের জন্য দোয়া করবো এবং তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবো। তারা যেন এই শোককে কাটিয়ে উঠতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের মতো শান্তি প্রিয় দেশে এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আমাদের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যকে আল্লাহ নিরাপদে রেখেছেন, সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি।

মানুষ যে ধর্মেরই হোক না কেন, এধরনের হামলাকে আমরা কেউই সমর্থন করি না। হোক তা অন্য ধর্ম বা মুসলমানদের বিপক্ষে। কারণ সবাই মানুষ, আর সব ধর্মের মানুষই একসাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে- এটা আমাদের সকলের কাম্য। সন্ত্রাসীরা কোনো দেশের হতে পারে না, কোনো ধর্মের হতে পারে না।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment