গুইমারায় যুবক নিখোঁজ, পরিবারের দাবি অপহরণ

গুইমারা (খাগড়াছড়ি) সংবাদদাতা: নিখোঁজ আর অপহরণ এ দুটি কথা গুইমারায় যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িঁয়েছে। খাগড়াছড়ির গুইমার কলা বাজার থেকে একযুবক নিখোঁজ হয়েছে। তবে তাঁর মাতা রুপনী ত্রিপুরার দাবি গত মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় গুইমারা ছাগল বাজার থেকে তার ছেলেকে মোবাইল ফোনে ডেকে কলা বাজারে নিয়ে পরবর্তীতে অপহরন করা হয়েছে। অপহৃত ব্যক্তি মাটিরাংগা থানার পশুরামঘাট এলাকার রমনি মোহন ত্রিপুরার ছেলে পিযুষ ত্রিপুরা(২৬)।

অপহৃত পিযুষের মাতা রুপনী ত্রিপুরা উপস্থিত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, গনমাধ্যমর্কমীও প্রশাসনকে জানান, তার ছোট ছেলেসহ গুইমারা মঙ্গলবার হাটবার হিসেবে বাজারে কাঁচা কলা বিক্রি করতে যায়। কলা বিক্রি করে বাড়ি ফিরার সময়ে ছাগল বাজারে অবস্থান করে। এমন সময় প্রতিবেশী ননতিরায় ত্রিপুরার ছেলে নগেন্দ্র ত্রিপুরা মোবাইল ফোনে তাকে কলা বাজারে আসতে বললে পিযুষ ত্রিপুরা ছোটভাইকে বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং সে নগেন্দ্র ত্রিপুরার সাথে দেখা করতে যায়।

এর পর পিযুষ স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে তাকে বাইল্যছড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলার পর থেকে পরিবারের লোকজন তার সাথে আর কোন যোগাযোগ করতে পারে নাই।মূলত ব্যক্তিগত আক্রোসের বশর্বতী হয়ে নগেন্দ্র এ কাজ করেছে বলে তিনি জানান।

পরে বিকালে রুপনী ত্রিপুরা লোকজনসহ সুর্নিদিষ্ট ভাবে নগেন্দ্রকে ধরে ইউনিযন পরিষদের সামনে নিয়ে যায় এবং চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সামনে তার ছেলেকে ফেরত দিতে বলে ।পরর্বতীতে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ বিদ্যুৎ বড়ুয়া নগেন্দ্র সহ অপহৃতের মা রুপনী ত্রিপুরাও ভাই কিশোর ত্রিপুরাকে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ বিদ্যুৎ বড়–য়া জানান, নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি ডায়েরী হয়েছে।অভিযুক্ত নগেন্দ্রের বিষয়ে কোন প্রমানাধি না পাওয়ায় রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।তবে নিখোঁজ পিযুষকে উদ্ধাার বা খোঁজার বিষয়ে পুলিশ র্কাযক্রম চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য অভিযুক্ত নগেন্দ্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে অপহরন সহ বেশ কয়েকটি মামলা খাগড়াছড়ি আদালতে চলমান রয়েছে।এদিকে গত তারিখে উপজেলার হাতমিুড়া এলাকা থেকে সবেমেরাজে রাতে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরার সময় মাহবুব নামে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান এখনো পায়নি তার পরিবার।এছাড়া ও চিংগুলি পাড়া থেকে অপর্হত নুকুল এখনো উদ্দার হয়নি। এরই মাঝে পিযুষের অপহরন গুইমারার সাধারন মানুষকে আতংকিত করে তোলেছে।

স্থানীয়রা জানান, নিখোঁজ আর অপহরন আতংকে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।তবে এ অঞ্চলের ইউপিডিএফের দায়িত্বরত মুখপাত্র ক্যহলাচিং র্মামা জানান, এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই তারা জড়িত নয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment