“ধান ও চালের মজুদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ২শত স্থানে স্টিল পাডি সাইলো স্থাপন করা হবে”….. খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন ধান ও চালের মজুদ বৃদ্ধিকরার লক্ষ্যে আগামীতে দেশের ২শত স্থানে স্টিল পাডি সাইলো স্থাপন করা হবে। সরকারি ভাবে ধান ওচাল মজুদ করার জায়গা নেই যার কারণে বরাদ্দের বেশি ধান কিংবা চাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।তবে চাল রপ্তানি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন সরকারিভাবে প্রতিকেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা ধানের প্রকৃত মূল্য পান সেই জন্যনির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগে জেলায় জেলায় সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয়ের বরাদ্দ ভাগ করে দেওয়াহয়েছে। কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্য মূল্য পান সে জন্য মৌসুমের শুরুতেই ধান ক্রয় কার্যক্রমশুরু করা হয়েছে। এবার ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব বরদাস্ত করা হবে না।প্রকৃত কৃষকেরা যাতে ধান দিতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হবে। ধান ক্রয়প্রক্রিয়ায় যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের দৃষ্টি রাখার আহŸানজানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে সাংবাদিকরা ধান ক্রয়ের তালিকা নিতে পারবেন। ধান ক্রয়েরক্ষেত্রে অনিয়ম হলে তা তুলে ধরবেন। কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ধান ক্রয়ের বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন,দুই-এক মেট্টিক টন ধান বেশি কিনলেই যে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন তা নিশ্চিত করা যাবেনা। আর বর্তমানে ধান সংরক্ষণের জন্য সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তবে কৃষকেরা যেনআগামীতে ধানের ন্যায্য ম‚ল্য পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে।এর মধ্যে সারাদেশ ১০ লাখ মেট্টিক টন ধান সংরক্ষণ করা যায় এরকম আধুনিক প্যাডি সাইলো(ধান সংগ্রহ গুদাম) নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে চাল রপ্তানীর করা যায়কিনা- এরকম চিন্তা-ভাবনাও রয়েছে সরকারের।বুধবার বিকেলে নওগাঁ সদর খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গনে নওগাঁ খাদ্য বিভাগ কর্তৃক আয়োজিতঅভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ-২০১৯ এর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরজবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যেআরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান, পুলিশ সুপারইকবাল হোসেন পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহবুবুর রহমান, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, অতিরিক্ত জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাজেরহোসেন, রাণীনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম লিটন, সদর উপজেলা পরিষদচেয়ারম্যান ও জেলা চালকল মালিক গ্রæপের সভাপতি আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন, জেলা চালকল মালিকগ্রæপের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, খাদ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয়গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

আপনি আরও পড়তে পারেন