দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী ও শাশ্বড়ী

ঢাকার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী ও শাশ্বড়ী। পরে ফোন পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ সাদিয়া আক্তার (১৮) উপজেলার বিলাসপুরের মাঝিরচর এলাকার মো. বিল্লালের মেয়ে এবং উত্তর জয়পাড়া সাববাজার এলাকার মোস্তফার স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে সাদিয়াকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বামী মোস্তফা ও শাশুড়ি বেবী বেগম। তারা জানান, গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সাদিয়া। খবর পেয়ে গৃহবধূর মা হাসপাতালে ছুটে এলে তাকে একই কথা বলে সাদিয়ার শাশুড়ি বেবী বেগম । পরে স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায় গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি।

নিহত সাদিয়ার মা আকলিমা বেগম জানান, আজ (শুক্রবার) বিকেলে সাদিয়া ওর স্বামীকে নিয়ে আমাদের বাড়ি বিলাসপুরের মাঝিরচর থেকে স্বামীর বাড়ি উত্তর জয়পাড়া সাববাজারে যায়। যাওয়ার ২ ঘন্টা পর খবর পাই আমার মেয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের জামাই মোস্তফা ও ওর পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে মেরে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

সরেজমিনে গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা পর স্বামী ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছেন বলে জানান প্রতিবেশিরা।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওমর ফারুক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের গলায় দাগ পাওয়া গেছে।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। এঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে এটি হত্যা প্রমাণ মিললে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন