ভোগান্তি চরমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, এ্যম্বুলেন্স থাকলেও নেই চালক

রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ জেলা) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  এ্যম্বুলেন্স ২ টি কিন্তু  চালক নেই একজনও। এ কারনে জরুরী ভিত্তিতে রোগী বাইরে নিয়ে যেতে রোগীর লোকজনদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহব্যাপি এমন অবস্থা বিরাজ করছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসূত্রে জানাগেছে, এখানে দায়িত্ব পালনকারী এ্যাম্বুলেন্সের চালক ছাড়পত্র নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে যোগদান করায় হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটি চালক শুন্য হয়। এরপর গত ১ লা জুন কামরুজ্জামান নামের একজন চালক যোগদান করেই ২ দিনের ছুটি নেন। কিন্ত ছুটি কাটিয়ে তিনি এখনও কর্মস্থলে যোগদান করেননি। এ কারনে গত ৩ জুন ও ৯ জুন তার বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
সূত্রে আরও জানাগেছে, গত ১ লা থেকে ১১ জুন পর্যন্ত জরুরী বিভাগ থেকেই মোট ৭ জন এবং ভর্তিকৃত রোগীর মধ্যে ১১ জন মিলে মোট ১৮ জন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
রেফার্ড হওয়া এক রোগীর স্বজন শাহিন হোসেন জানান, অবস্থার অবনতির কারনে হাসপাতাল থেকে তার এক আত্বীয়কে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রিপার্ট করা হয়। কিন্ত এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকায় তাদেরকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বাধ্য হয়ে শহরের একটি মাইক্রোবাস ১ হাজার ৭’শ টাকা দিয়ে যশোর যেতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গুরুতর মূহুর্তে টাকাটাও বড় কথা নয়। দ্রুত পৌছানোটাই বেশি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে এ্যাম্বুলেন্স নিতে পারলে একদিকে টাকা সাশ্রয় হতো অন্যদিকে দ্রুত পৌছানো যেতো। তিনি বলেন, একটি হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকাটা দুঃখজনক।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রের টি এইচ এ ডাঃ হোসাইন সাফায়েত জানান, নতুন এ্যাম্বুলেন্স চালক যোগদান করেই তিনি আর কর্মস্থলে আসেননি। অফিসিয়ালী এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুটি কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। তিনি নিজেও স্বীকার করে বলেন, জরুরী মুহুর্তে রোগীর জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবা না পাওয়াটা কষ্টদায়ক ব্যাপার। এ সমস্যা দ্রুতই কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আপনি আরও পড়তে পারেন