তরুণীকে আটকে রেখে স্বামী-স্ত্রীর দেহব্যবসা, আটক ৩

চুয়াডাঙ্গায় স্নেহা নামে দুই বছরের এক শিশু কন্যাকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষন্ড এক মা। সোমবার সকালে জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামে এ লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক মা শামীম আরা সাইমাকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো বটি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মামুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যরা সকালে সবাই ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় পরিবারের সকলের অজান্তে তার স্ত্রী শামীম আরা সাইমা তার শিশু কন্যা স্নেহাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বাড়ির দুই তলার ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে রান্না ঘরে থাকা ধারালো বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে শিশু স্নেহাকে।
নিহত স্নেহার বাবা মামুন অর রশিদ জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে ¯েœহাকে না পেয়ে খুঁজাখুজি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির দুই তলার ছাদের রান্না ঘর থেকে তার জবাই করা মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে  খবর দেওয়া হয় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতর মরদেহ উদ্ধার করে থানাতে নিয়ে আসে। শিশু সন্তান হত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয় ঘাতক মা শামীম আরা সাইমাকে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, হত্যাকান্ডের পর ঘাতক মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো বটি। প্রাথমিকভাবে শামীম আরা সাইমা তার শিশু কন্যা হত্যার কথা স্বীকারও করেছে।
স্নেহার চাচা মিস্টার জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তার ভায়ের স্ত্রী শামীমা। এর আগেও স্নেহাকে
 হত্যার প্রচেষ্টা চালায় শামীমা। তবে সে যাত্রায় সে প্রাণে বেঁচে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন