বাজারে মৌসুমী ফল পরীক্ষা করে কোনো ফরমালিন পাওয়া যায়নি: হাইকোর্টে প্রতিবেদন

আজ রোববার সকালে বিচারপতি এফ এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে মৌসুমী ফল পরীক্ষা করে কোনো ফরমালিন পাওয়া যায়নি। দুধ ও দইয়ের ৩০৫টি নমুনার মধ্যে ২টি নমুনা মানহীন। এ সংক্রান্ত বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ফরমালিন পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের দেয়া প্রতিবেদনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। এরপর দেশীয় মৌসুমি ফল আমে ফরমালিনের ব্যবহার বন্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং কিভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এ বিষয়ে পুলিশ ও র‌্যাবকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্ট মন্তব্য করে, খাদ্যপণ্যে টেক্সটাইলের রং ও এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, মানুষের বাঁচার কোন উপায় নেই। হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে কাজ হচ্ছে না।
আমের বাজারে ফরমালিন পরীক্ষার বিষয়ে বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে হাইকোর্ট পুলিশ ও র‌্যাবকে আবারও প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৩ জুন দিন ধার্য করা হয়। আদালতে রিটকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল বাশার।

আদালতের নির্দেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আম ও ফলে কেমিক্যাল রোধে সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তে নজরদারি করতে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সব ফলের আড়ত ও বাজারে থাকা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হয়। শুনানিতে আদালত র‌্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের প্রতি এই নির্দেশনা দেয়। এর আগে গত ২০ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের ফলের বাজার ও আড়তগুলোতে যেন আমে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে তা তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।

পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআইয়ের চেয়ারম্যান ও বিএসটিআইয়ের পরিচালককে এ মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন