কর্মীদের জন্য ‘বীরের খেতাব’ চেয়েছেন আলাল

দলের কর্মীদের জন্য বীরের খেতাব চেয়ে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ‘আমরা যারা বিএনপি করি, তাদের মনোজগতে ও বাস্তব জীবনে এক দেয়াল গড়ে উঠেছে বিএনপির আদর্শে বিশ্বাস করে ও বিএনপিকে ভালোবেসে। আমরা যারা ঝুঁকি নিয়ে যে বিপদের আশঙ্কাগুলো মাথায় নিয়ে এখনো বিএনপি করি, আমি মনে করি তাদেরকে স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় বীরের খেতাব দেয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমি এমপি হয়েছি, দুদু ভাই এমপি হয়েছেন, সেলিমা রহমান মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু যাদের কোন কিছুই হয় নাই, তারপরও এখনও যারা বিএনপি করে সেই জন্য তাদেরকে স্যালুট।’

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমাদের মাঝে যে দেয়ালটা সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদের কাছে হয়তো কিছু না, কিন্তু আমার কাছে এটি বিশ্লেষণের বিষয়। আমরা যে স্লোগান দেই যে ‘রাজপথ ছাড়ি নাই’, তার আগে আমার বলতে ইচ্ছা হয়, ‘রাজপথে নামি নাই’। তারপরে না বলব, ‘খালেদা জিয়া রাজপথ ছাড়ি নাই।’ আমরা কি নেমেছি নাকি? হঠাৎ যখন মন চায় একটু ঘুরে আসলাম। আবার যখন মন না চায়, তখন ঘরে উঠে বসে গেলাম। এখন এখানে একটা যুক্তি দেখানো হয় যে, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা ছাড়া তো আমরা কিছুই করতে পারিনা’। সর্বোচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা জন্য কিন্তু নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শামসুজ্জামান দুদুর বসে থাকেন নাই। সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনার জন্য কিন্তু সেই সময়ে ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ বসে থাকেন নাই। আজ সেই জায়গা‌তে সমস্যা আ‌ছে। যদি খেয়াল করে সেই রোগটা‌কে সরানো যায়, তাহলে আমার মতে— বিএনপির সামনের দিনে হতাশা কা‌টাতে অধিকাংশে সফলতা পাবে।’

এই দেশটাকে এবং এই সরকারকে বোবা ভুতে ধরেছে। এদেরকে পিটিয়ে, না হয় যা কিছু দিয়ে খুচি‌য়ে সারানো যায় তা দিয়ে ছাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন যুবদলের সাবেক এই সভাপতি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহবায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং আহবায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম-আহবায়ক তকদির হোসেন মো. জসিম, আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন মাস্টার, ঢাকা মহানগরীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, আহবায়ক কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, মাইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, হাজী মোজাম্মেল হক মিন্টু, এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি, শফিকুল ইসলাম শফিক, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আমিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন