জামালপুরে সরিষাবাড়ী পরকীয়ার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মোঃ রিয়াজুর রহমান লাভলু ঃ ১৯,১,২০২০

জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলায় পরকীয়ার জের ধরে বাড়িঘরে হামলা ও দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের খাকুরিয়া বড়সরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের খাকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের বাবলু মিয়ার ভাতিজা জহুরুল ইসলামের সাথে। এক পর্যায়ে মাসখানেক আগে জহুরুল ইসলাম প্রবাসীর স্ত্রী ওই নারীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান এবং তার স্বামীকে তালাক দেওয়ান। পরে তাকে বিয়ে করেন জহুরুল ইসলাম। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই নারীকে খুঁজে বের করে দিতে বাবলু মিয়ার পরিবার ও সমর্থকদের ওপর চাপ দেন ওই নারীর পরিবারের নিকটাত্মীয়রা।

রবিবার পলাতক জহুরুল ইসলামের চাচা বাবলু মিয়া তার বাড়ির পাশে জমিতে হাল চাষের কাজ করছিলেন। এসময় পালিয়ে যাওয়া ওই নারীর নিকটাত্মীয়দের সাথে বাবলু মিয়ার তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ওই নারীর নিকটাত্মীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে বাবলু মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে নারী-পুরুষদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে মহাদান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুর রহমান জুয়েলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ২নং ওয়ার্ড খাকুরিয়া বড়সরা গ্রাম থেকে মুঠোফোনে বলেন আমার এক পরিচিত লোক, যে পরকীয়ার জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে তিনজনের মাথাফেটেগেছে ও দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে বলে জানান।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাজেদুর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনার খবর পেয়েঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন