বাউবি ছাত্রীকে ধর্ষণ, পুলিশ বলছে ঘটনা ‘প্রেম সংক্রান্ত’

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এক ছাত্রীকে অপহণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বোধী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে শিমুল আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীকে পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা উপজেলার বোধী গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে শিমুল আলমগীরের সাথে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারি রাতে হঠাৎ মেয়েটি নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে সাথে সাথে থানায় নিখোঁজ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি না করেই জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে মৌখিকভাবে অবহিত করেন। পরবর্তীতে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাড়িতে ফিরে অভিভাবকদের কাছে প্রতিবেশী আলমগীর তাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করে মেয়েটি। পরে অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করলে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পরিক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়।

ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, গত তিন বছর ধরে পূর্ব শত্রুতার জেরে শিমুল গত ৩১ জানুয়ারি মেয়েটিকে অপহরন করে নিয়ে যায় নরসিংদী এনামুল নামের এক বন্ধুর বাসায়। সেখানে জোর পূর্বক বিয়ের কাবিনে স্বাক্ষরও করায়। সেই সাথে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে দুই ফেব্রুয়ারী এনামুল ফোন দিয়ে মেয়ের অভিভাবককে জানালে তারা রাতেই গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে গ্রামের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন জনের কাছে জানালে ৪ ফেব্রুয়ারী রাতে পূর্বধলা থানাকে অবহিত করেন মেয়েটির পিতা।

ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, তাকে জোর করে কাবিন রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করায় এবং শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সাথে আসা প্রতিবেশী বিলাশ জানান এনামুল নাটক সাজিয়েছে।

এদিকে মেয়ের বাবা জানান, এনামূল মোবাইল ফোনে খবর দিলে তারা গিয়ে মেয়েকে নিয়ে আসেন ২ ফেব্রুয়ারি রাতে। থানায় মামলা করতে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান আগে বিষয়টি জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি। মেয়েটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহিদুর রহমান জানান, এদিকে ঘটনা তদন্ত করে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা ছিল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন