মাকে খুন করে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গেল তরুণী

প্রথমে মাকে ছুরি দিয়ে হত্যা। তারপর ভাইকে ছুরির আঘাতে রক্তাত্ত করে বন্ধুর সঙ্গে ছুটি কাটাতে ভারতের আন্দামান উড়ে গেলেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দিদি। আর এই ঘটনা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সিলিকন ভ্যালিতে।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দিদি এবং তার বন্ধুকে পোর্টব্লেয়ার এয়ারপোর্ট থেকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের নাম অমরুতা চন্দ্রশেখর (৩৩)। সোমবার সকালে অমরুতা প্রথমে ছুরি দিয়ে তার মাকে হত্যা করে। এবং পরে ভাইকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করে। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই তরুণী বন্ধু শ্রীধর রাওয়ের সঙ্গে বাইকে করে এয়ারপোর্ট পৌঁছায়।

সেখান থেকে সকাল ৬:৩০টার ফ্লাইটে চড়ে পাঁচদিনের ছুটি কাটাতে চলে যায় আন্দামান। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পোর্টব্লেয়ার থেকেই তাদের আটক করে পুলিশ।

দিদির এমন কাণ্ডে হচকিয়ে যায় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ভাই। তারপরই সে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করে স্থানীয় পুলিশ এবং পরিজনদের সঙ্গে। তার ভাই হরিশ পুলিশের কাছে জানিয়েছেন যে, সোমবার ভোর ৪টার দিকে তার দিদি আলমারির পিছনে লুকাতে যাচ্ছিল সেই সময় সে চিৎকার করে তার মাকে ডাকলে ঘরে ছুটে আসেন তার মা। সেই সময় ছুরি হাতে তার দিদি মায়ের উপর আক্রমণ করে। এরপর একটি লোহার রড দিয়ে তাকেও মারার চেষ্টা করে।

হরিশ আরও জানিয়েছে, কিছুদিন হল তার দিদি কাজের জন্য হায়দ্রাবাদ চলে যাওয়ার কথা বলছিল। এমনকি বাজারে তাদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা দেনা রয়েছে। এই বিষয়ে তার দিদি নিজেকে অসস্মানিত বোধ করতো। ফলে খানিকটা বিষণ্ণ ছিল তার দিদি।

ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ অফিসার অনুচেত একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এটি হত্যার চেষ্টা এবং হত্যার মামলা। তিনি আরও বলেন, এই হত্যার দু’দিন আগে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ফ্লাইট বুক করেছিল অভিযুক্ত তরুণী। এই ঘটনার সঙ্গে তার বন্ধুও জড়িত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে তাকেও আটক করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন