ব্যাংক ঋণে ৯ শতাংশ সুদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ব্যাংক ঋণে সুদ হার ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীর পক্ষে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

রোববার (১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য সোমবার (২ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংকের সব ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংক ভেদে উৎপাদন খাতে সুদহার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। ভোক্তা ও এসএমই ঋণের সুদহার আরো বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পসহ ব্যবসা ও সেবা খাতের বিকাশে প্রধান অন্তরায় হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদ উচ্চ মাত্রার হলে সংশ্লিষ্ট শিল্প, ব্যবসা ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ কখনো কখনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এ কারণে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতারা যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধে করতে পারেন না। এতে ব্যাংক খাতে ঋণ শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয় এবং সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

এ প্রেক্ষাপটে শিল্প, ব্যবসা ও সেবাপ্রতিষ্ঠানসমূহের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক সক্ষমতা অর্জনসহ শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ঋণ বা বিনিয়োগ পরিশোধে সক্ষমতা এবং কাঙ্খিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নিচের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।

ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে অশ্রেণিকৃত ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফা হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

আপনি আরও পড়তে পারেন