ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহতার এক বছর আজ

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ১ বছর আজ (রোববার)। ২০১৯ সালের এইদিনে আল নূর মসজিদে ন্যাক্কারজনক সেই হামলায় মারা যায় ৪৯ জন মানুষ। আহত হন ৫০ জনেরও বেশি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

একটা দুপুর কতোটা ভয়ঙ্কর! শান্ত-শুভ্র-নিশ্চিন্ত নিউজিল্যান্ডে হুট করেই আতঙ্ক। কিউইয়ের ডানাজুড়ে ছড়িয়ে পড়লো বিষাদের কালো থাবা।

ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক সন্ত্রাসী ঝাঁপিয়ে পড়েন নিরীহ কিছু মানুষের ওপর। প্রথমে আন নূর মসজিদে এরপর লিনউড ইসলামিক সেন্টারে। অনেকটা ভিডিও গেমের মতো করে গুলি চালান মসজিদে প্রার্থনারত একদল মুসলিমের ওপর, তাৎক্ষণিকভাবে মারা পড়েন ৪৯ জন মানুষ। আহত হন আরো ৫০ জনেরও বেশি।

মসজিদের কাছাকাছিই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। চলছিলো বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। অনুশীলন শেষে তামিম-মুশফিক-রিয়াদ-তাইজুলরা গিয়েছিলেন শুক্রবারের জুমা আদায় করতে। তবে মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছুলে, হামলার শিকার একজন সতর্ক করে দেন তাদের। প্রাণে বাঁচতে বাস থেকে নেমে দৌড় দেন তামিম-মিরাজরা। সঙ্গে ছিলনা কোন নিরাপত্তাকর্মীও। দৈবক্রমে প্রাণ নিয়ে ফেরেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

হামলার ভয়াবহতায় বাতিল হয় টেস্ট ম্যাচ। দেশে ফিরে আসেন ক্রিকেটাররা।

প্রাথমিকভাবে বলা হয়, কালোদের ওপর সাদাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতেই এমন হামলা। তবে এই ঘটনায় মারা যাওয়া প্রতিটি মানুষ মুসলিম ধর্মের অনুসারী।

হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট হামলার পরপরই ধরা পড়েন। এখনো বিচারাধীন আছেন তিনি।চলতি বছরের জুনে এই মামলার রায় হওয়ার কথা রয়েছে।

এমন গণহত্যার নজির নিউজিল্যান্ডে খুব কমই। দিনটিকে দেশটির সরকার বলেছে, ইতিহাসের কালো দিন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্যও তো বটে! মৃত্যুর কাছাকাছি থেকে ফিরে আসা ক্রিকেটাররা এমন দু:সহ স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেন কি!

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন